বিসিএস প্রিলি: সহজ কঠিন যাই হোক ১৩০ চাই
বিসিএস প্রিলি পরীক্ষায় প্রস্তুতি ভালো না থাকলেও পরীক্ষার কেন্দ্রে কয়েকটি টুকটাক কৌশল অবলম্বন করলে পরীক্ষায় ভালো করা যায়। সত্যিই করা যায়। এমন কতগুলো কৌশল আছে যেটা অবলম্বন করলে আপনি আনায়াসে ১০/১৫টি নাম্বার প্রস্তুতি ছাড়া পেতে পারেন। কাজেই প্রিলিতে এই ১০/১৫ নাম্বারও কম নাম্বার নয়। আমরা সামান্য ১/২ নাম্বারের জন্য প্রিলি থেকে ছিটকে পড়ি। যা চরম সত্য। চরম বাস্তবতা। তাহলে চলুন এই ১০/১৫ নাম্বারের জন্য কি কি কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে—
১) প্রশ্ন হাতে পাওয়ার সাথে সাথে ধুমধাম বৃত্ত ভরাট করতে যাবেন না। আমরা মানুষ বলেই আমাদের ধৈর্য শক্তি অনেক কম। তাই ধৈর্য ধরে, প্রশ্ন হাতে পেলে যার যার সৃষ্টিকর্তার নাম নিবেন। তারপর নিজের মা-বাবার উছিলার নাম ধরে প্রশ্ন ভালো করে পড়ে বৃত্ত ভরাট করবেন। সত্যি বলছি ম্যাজিকের মত কাজ করবে।
২) নৈতিক ও সুশাসন, আইকিউ (মানসিক দক্ষতা) এই দুই পার্টে মোট ২৫ নাম্বার আছে। যদি একটু চালাকি হন তাহলে আইকিউ ১৫ নাম্বারে ১৪ নাম্বারও পেতে পারেন। আর নৈতিক ও সুশাসন ১০ নাম্বারে ৫/৬ নাম্বার পেতে পারেন। আইকিউতে প্রতিবিম্ব বিষয়ক, ঘড়ি বিষয়ক প্রশ্ন আসলে আলোর দিকে উল্টো করে ধরে দেখবেন উত্তর পেয়ে যাবেন। যন্ত্রবিষয়ক আসলে খুব চতুরতার সহিত উত্তর দিবেন। সত্যি বলছি এই দুই পার্ট নাম্বার পাওয়ার উপযুক্ত।
৩) সহজ থেকে দাগানো শুরু করবেন। কখনো গণিত নিয়ে বৃত্ত ভরাট শুরু করবেন না।
৪) ভালো করে প্রশ্ন পড়বেন। এমনভাবে পড়বেন যেন আপনার সেলিব্রামে টাচ হয়ে উপযুক্ত উত্তর আসে। কাজেই অনেকে প্রশ্ন ভালো করে না পড়ে তাড়াহুড়ো দাগাতে গিয়ে ভুল হয়। যেমন ৪০তমে একটা সহজ প্রশ্ন আসছিল, ১) ডিমে কোন ভিটামিন নেই? কিন্তু যারা প্রশ্ন ভালো পড়েননি তারা এই প্রশ্নটি দেখল ‘ডিমে কোন ভিটামিন আছে। তাই অধিকাংশে ভুল করেছেন। সত্যি বলছি, পরীক্ষা কেন্দ্রে তাপমাত্রা অধিক। একজন স্বাভাবিক মানুষ পরীক্ষা হলে গেলে অস্বাভাবিক হয়ে যায়। তাই প্রশ্নগুলোও বুমেরাং দেখে।
৫) প্রশ্ন কঠিন না সহজ আসছে তা তাৎক্ষণিক জানতে পারবেন না। এজন্য একটানা যতগুলো পারেন বৃত্ত ভরাট করতে করতে যাবেন। ভরাট শেষে গুনে নিবেন কতগুলো দাগানো হইছে। যদি আপনার দাগানো কম হয় তাহলে মনে করবেন প্রশ্ন কঠিন এসেছে। যদি দাগানো বেশি হয় তাহলে মনে করবেন প্রশ্ন মোটামুটি সহজ হয়েছে। সহজ কঠিন যাই হোক ১৩০ চায়।