ক্রিকেটখোরের অষ্টম বছরে পদার্পণ
একটা সময় ছিল যখন টাইগাররা এখনকার মত মাঠ দাপিয়ে খেলতে পারতো না। প্রতিপক্ষের সাথে লড়াইটা ছিল নিরামিষ। বেশিরভাগ সময়ই তাদের চোখ রাঙানির জবাবটা ২২ গজে দেওয়া হতোনা বাশার-সুজনদের। সেসময় দেশের ভক্তরা ক্রিকেট বলতে বুঝতো ভারত, পাকিস্তান কিংবা অষ্ট্রেলিয়া।
ঠিক এমনই এক প্রেক্ষাপটে আবির্ভূত হয় অনলাইনে বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় আলোচনার সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম ক্রিকেটখোরের। শুরু থেকেই ক্রিকেটখোরের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটপ্রেম সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।
এ লক্ষ্যে শুরু থেকেই কাজ করে চলেছে গ্রুপটি। দেশ ও দেশের বাইরের ক্রিকেট নিয়ে সবসময় গঠনমূলক আলোচনায় মুখরিত থাকেন গ্রুপের সদস্যরা। ফেসবুকে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি মাঠের ম্যাচ আয়োজন ও বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়নেও দারুণ সফল ক্রিকেটখোর।
বর্তমানে দেশ ও প্রবাস মিলিয়ে বিশটিরও অধিক কমিউনিটি রয়েছে তাদের। কমিউনিটিগুলো নিজেদের ভেতর নিয়মিত ম্যাচ খেলার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের সামাজিক কার্যক্রমেও অংশ নিয়ে থাকে। দেশের ক্রিকেটের দুর্দিনে বরাবরই প্রতিবাদী ছিলেন ক্রিকেটখোরের সদস্যরা।
২০১৪ সালে সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধের প্রতিবাদে শাহবাগে বড় ধরনের আন্দোলনও গড়ে তোলেন তারা। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে নিজেদের ফেসবুক গ্রুপ ও কীবোর্ডকে বেছে নেন সদস্যরা।
ক্রিকেটখোরের বর্তমান সদস্য সংখ্যা সাড়ে চার লাখেরও বেশি। ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় ক্রিকেটখোর। সাতটি বছর পেরিয়ে আজকের এইদিনে অষ্টম বছরে পদার্পণ করলো গ্রুপটি।