২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:৪০

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এমবিএ ডিগ্রি কতটা জরুরী

আপনি যদি নিজের কোনো কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে চান, এজন্য আপনাকে অনেকে এমবিএ ডিগ্রি নেয়ার পরামশ দিবে। আবার কেউ কেউ বলবে নতুন উদ্যোগ কিংবা কোম্পানি প্রতিষ্ঠার জন্য ডিগ্রির কি দরকার?

অনেক তরুণ উদ্যোক্তা মনে করেন, একটি সফল ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি চমৎকার আইডিইয়াই যথেষ্ঠ। কিছু উদ্যোক্তার চিন্তা ঠিক এর বিপরীত। তাদের অনুভূতি হচ্ছে— স্বপ্নের ব্যবস্থা শুরু করার জন্য তাদের অবশ্যই কোন বিজনেস স্কুলে ভর্তি হতেই হবে। চলুন জেনে নেই নতুন ব্যবসার জন্য এমবিএ থাকা না থাকার সুবিধা ও অসুবিধার।

প্রতীভাবানদের সঙ্গে পরিচয় ও যোগাযোগ স্থাপন: শুধু ডিগ্রী অর্জৃন করাটাই বিজনেস স্কুলে ভর্তির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। এর চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে— বিজনেস স্কুল প্রতিভাবানের সঙ্গে পরিচয়ের সুযোগ। যাদের কাজ থেকে আপনি অনেক গরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারেন, সামনে এগিয়ে যেতে পথ দেখাবে।

অনেক উদ্যোক্তার জন্য এমবিএ ডিগ্রী প্রয়োজনীয় যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয় যে যোগাযোগ, বাস্তবিক জীবনে ব্যবসা শুরুতে যা খুবই উপকারী। মার-ডেট নামে ডাটা ড্রিভেন কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা লাভ-হাডসন বিশ্বাস করেন যে প্রতিটি উদ্যোক্তার একটি এমবিএ ডিগ্রী করা উচিত।

হাডসন বলেন, ‘কারণ এটি তাদেরকে ব্যবসায় কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে শেখায়।’

ব্যবস্থা পরিচালনা কোনো তাত্ত্বিক বিষয় নয়: ব্যবস্থা পরিচালনা করার তত্ত্ব বর্ণনার মতো কোনো বিষয়ের মতো কিছু নয়। ব্যবসা পরিচালনার জন্য অনেক কিছু জানতে হয়, যেটা থিওরি বুঝতে সাহাস্য করে।

তাই ব্যবসা ক্ষেত্রে আপনি নিজেকে যেখানে দেখতে চান, সেখানে পৌছানোর জন্য কোনো বিজনেস স্কুলে যাওয়ার জরুরী নয়। কারণ আপনার ব্যবসা সফল এমন নিশ্চয়তা পৃথিবীর সব থিওরিও দিতে পারবে না।

তাইতো দ্যা বেটার লিডস ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তা, সিড ক্লিভিঞ্জার, নিজেও সন্ধিহান যে তাঁর এমবিএ তাকে ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা করেছে কিনা। তার মতে, এমবিএগুলি খুব তাত্ত্বিক। যা ব্যবসা শুরু করার অপ্রত্যাশিত ঝুঁকির জন্য উদ্যোক্তাদের প্রস্তুত করে না।

‘এমবিএ ডিগ্রী আপনাকে কোনও প্রতিরোধ এবং কোনও বিঘ্ন ছাড়াই কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে হয় তা শেখায়। উদ্যোক্তা হিসেবে আমার এমবিএ আমাকে চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য প্রস্তুত করেনি। এমবিএ ডিগ্রীধারী আর উদ্যোক্তার মধ্যে বাস্তব ঝুঁকি মোকাবিলাটিই সত্যিকারের পার্থক্য’, বলেন ক্লিভিঞ্জার।

টাকা কোথায় ব্যয় করবেন, ডিগ্রীর পেছনে না ব্যবসায়?

এমবিএ মানে একটি বড় অংকের আর্থিক ব্যয়। বাংলাদেশে প্রতিটি এমবিএ’র গড় ব্যয় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠান ভেদে এটা আরো বেশি হয়ে থাকে। তাই ডিগ্রী নেয়ার আগে অবশ্যই এটা ভাবতে হবে।

বিকল্প ‍উৎস থেকে হতে পারে এমবিএ: ডিগ্রী যদি জরুরী হয়েই থাকে, তবে আজকের উদ্যোক্তাদের কাছে আগের চেয়ে আরও বেশি বিকল্প রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে কলেজে না গিয়ে আপনি এমবিএর সুবিধা পেতে পারেন।

শেখার জন্য ইন্টারনেট একটি অবিশ্বাস্য জায়গা। একজন পরামর্শদাতা খুঁজে পড়তে এবং গবেষণা করতে পারেন অথবা অনলাইনে কোর্স করতে পারেন।