গতবারও বেস্ট এ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল হেলাল, এঁকেছিল লঞ্চঘাট
- তাওসিফুল ইসলাম
- প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:৪০ PM , আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৪১ PM
রং তুলি নিয়ে হাতে জীবন্ত ছবি একে গতবছরও যাদু দেখিয়েছেন হেলাল শাহ। নগদে স্বীকৃতিও মিলে যায় বছরের সেরা ছবির। ঢাকার সদরঘাটের লঞ্চ ও বুড়িগঙ্গার চিরাচেনা দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেন ছবিটিতে। এটি দেখলে হঠাৎ মনের গভীরে এক ধরণের মায়া জন্মায়। কত নিষ্ঠার সঙ্গে ছবিটি এঁকেছেন তিনি। এক কথায় যাকে বলা যায় ‘অসাধারণ’।
পুরান ঢাকা ও কেরানীগঞ্জের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে বুড়িগঙ্গা নদী। এর দু’কূলে জুড়ে রয়েছে মানুষের ব্যস্ততা। এরমধ্যে সদরঘাট দৃশ্যপট অসাধারণ। বিকেল বেলায় একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে নদীর তীরে ভিড় জমায় নগরবাসী। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জনপদের মানুষ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রী বহনকারী বিলাসবহুল লঞ্চের সারি দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। সদরঘাটের এই মনোরম দৃশ্য খুবই যত্ন নিয়ে রং তুলিতে এঁকেছেন হেলাল শাহ।
এই বছরও মুগ্ধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার অনুষদের শিক্ষার্থী হেলাল শাহ। জিতে নেন পেইন্টিং এন্ড ড্রয়িংয়ের ক্যাটাগরির সেরা ছবির খেতাব। সম্প্রতি তার হাতের যাদু দেখে বিস্মিত সবাই। পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজারের ব্যস্ততম দৃশ্য হাতে আঁকা ছবিতে নিপুনভাবে তুলে ধরেছেন। যা আধুনিক ক্যামেরায় ধারণ করা ছবির মতো জীবন্ত। ছবিটি বেস্ট মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড লাভও করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন অনেকে।
বরিশালের সিহাম রায়হান পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরেন সদরঘাট হয়ে। সিহাম বলে, হেলাল ভাইয়ের ছবিটি দেখে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের সদরঘাটকে নতুন করে অনুভব করলাম। এককথায় বললে ‘অসাধারণ’। এই রকম জীবন্ত ছবি কোন ক্যামেরায় তোলা সম্ভব মনে হয় না। তিনি খুবই যত্ন নিয়ে দৃশ্যটি ফুটিয়ে তুলেছেন।
আজ সোমবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে হেলাল শাহ বলেন, ‘চিত্র আঁকা আমার নেশা। এর মধ্যে আমি প্রাণ খুঁজে পাই। ভবিষ্যতে এটি নিয়ে কাজও করতে চাই।’
জীবন্ত ছবি এঁকে এবছর ও গতবছর বর্ষসেরা হয়ে বেস্ট মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড লাভ করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশও করেন তিনি।
পড়ুন: তেলচিত্রে শাখারি বাজার, বর্ষসেরা ঢাবি ছাত্র হেলালের ছবি