গবেষণায় নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন মামুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমুদ্র বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে গবেষণার প্রতি আগ্রহ। গবেষণার শুরুতে ২০১০-১১ পর্যন্ত তিনি সহযোগী অধ্যাপক আয়েশা আক্তারের অধীনে ফিশফিড নিউট্রেশন ও বায়োটেকনোলজি বিষয়ে গবেষণায় সরকারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু ‘বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানব জীবনে এর প্রভাব’ বিষয়টা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে চরমভাবে আকৃষ্ট করে।
এরপরে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মহেশখালীর কোহেলিয়া চ্যানেলে অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক আয়েশা আক্তার (চবি) ও সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু হেনা মুস্তাফা কামাল (ইউনিভার্সিটি অব পুতরা মালয়েশিয়া) অধীনে জলজ জীববৈচিত্র্যের উপর গবেষণা করেন তিনি। যা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তার গবেষণার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘জলজ জীববৈচিত্র হ্রাস পাওয়ার কারণ’ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়ি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার ঝাপুয়া উত্তর সরদার ঘোনা গ্রামে। ২০০৬ সালে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও ২০০৮ সালে চট্টগ্রামের হাজেরা তজু ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইউনিস্টিটিউট থেকে বিএসসি অনার্স ইন মেরিন সায়েন্স এবং ২০১৬ সালে একই ইউনিস্টিটিউট থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।
সৃজনশীলতার পাশাপাশি গবেষণায় গভীর আগ্রহের ফলশ্রুতিতে ২০১৬ সালে চীন সরকারের অধীনে মাস্টার্স স্কলারশিপে (Chinese Scholarship Council, CSC) ভূষিত হন তিনি। ২০১৯ সালে কৃতিত্বের সাথে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন চীন সরকারের অধীনে সর্বোচ্চ সম্মানিত স্কলারশিপ CAS-TWAS President’s Fellowship নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রী পি.এইচ.ডি. তে মনোনীত হয়েছেন।
চীনের ওশেন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নকালে মামুনের গবেষণাকর্ম ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন জার্নাল প্রকাশনার জন্য সার্টিফিকেট অব অনার অর্জন করেন। যা চবির সমুদ্র বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের জন্য একটি গৌরবের অর্জন। তাছাড়া উক্ত ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী হিসেবে তিনিই সর্বপ্রথম CAS-TWAS President’s Fellowship মনোনীত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব চায়নিজ একাডেমী অব সায়েন্সেস (UCAS) এ পিএইচডি করার সুযোগ পেয়েছেন।
বর্তমানে তিনি খাদ্য শৃঙ্খলের উপর মানবসৃষ্ট ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং এর ফলে মানবজীবনের ভবিষ্যতের প্রভাব ও করনীয় বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। সুষ্ঠুভাবে উচ্চতর শিক্ষা সম্পন্ন করে দেশের সেবায় মনোনিবেশ করতে চান আব্দুল্লাহ আল মামুন।