প্রশ্নফাঁস ও গুজব থামাতে তেঁতুলিয়া-টেকনাফ পদযাত্রায় শান্তি (ভিডিও)
প্রশ্নফাঁস ও ‘মাথাকাটা’ গুজবের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরিতে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। তিনি দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম শান্তি।
১৩ জুলাই পঞ্চগড় তেতুলিয়া থেকে ‘ব্যক্তি স্বার্থ ভুলে যান, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও গুজবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান’ এই শ্লোগানের বাস্তবায়ন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে টেকনাফের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন। তার নিজ বাড়ি পঞ্চগড়ের আমলাহাট এলাকায়। বাবা আবদুল মজিদ ও মা ফাতেমা বেগম। তারা দুই ভাই ও এক বোন।
পদযাত্রায় সাইফুল ইসলাম শান্তি মাথায় জাতীয় পতাকা, হাতে হ্যান্ড মাইক এবং একটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে পায়ে হেঁটে টেকনাফের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর পেরিয়ে এখন তিনি অবস্থান করছেন নীলফামারী জেলার সৈয়পুর উপজেলায়।
পদযাত্রার বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে সাইফুল ইসলাম শান্তি বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টিই আমার পদযাত্রার মূল উদ্দেশ্য। পায়ে হেঁটে টেকনাফে পৌঁছাতে আমার হয়তো এক মাস সময় লাগতে পারে। কিন্তু এই দীর্ঘ পদযাত্রায় আমি ছেলেধরার গুজব, প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে জনমত সৃষ্টির করতে চাই ।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ ডিজিটাল হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কুসংস্কার ও অসচেতনতা আমাদের কুরে কুরে খাচ্ছে।’ পদ্মা সেতু তৈরিতে রড, বালু, সিমেন্ট ও পাথরের প্রয়োজন। সেখানে শিশুর মাথা ও রক্তের প্রয়োজন হয় না। অথচ একটি মহল অপপ্রচার চালিয়ে মানুষ মেরে ফেলছে। যা অত্যান্ত দুঃখ জনক। ‘দেশের মানুষ স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে। কেউ কারও বিপদে এগিয়ে আসা দূরের কথা, সহানুভূতি প্রকাশও করছেন না। আমরা যদি সবাই নিজের অবস্থান থেকে এগিয়ে তাহলে আসতাম, বরগুনায় প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে হত্যা করা সম্ভব হতো না, কোন মায়ের বুকও খালি হতো না ।