বিসিএস লিখিত: আন্তর্জাতিক বিষয়ে রেকর্ড মার্কস পেতে ১০ পরামর্শ
বৃহস্পতিবার ৪০তম বিসিএসের প্রিলিমারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। উত্তীর্ণদের এবার লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পালা। লিখিত পরীক্ষায় আন্তর্জাতিক বিষয়ে রেকর্ড মার্কস পেতে ১০ পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক ড. এমরান হুসাইন-
সাধারণ ও টেকনিক্যাল- উভয় ক্যাডারে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে আন্তর্জাতিক বিষয়ে এবং এর সিলেবাস ব্যাপক। চলমান বিশ্বের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি, বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এর আওতাভুক্ত। তিনটি বিভাগে প্রশ্ন আসবে।
‘এ’ পার্টে ১২টি প্রশ্নের মধ্যে ১০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ৪ এবং মোট নম্বর ৪০। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির পরিচিতি, গুরুত্ব ও তাৎপর্য, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির পারস্পরিক সম্পর্ক থেকে প্রশ্ন থাকবে। এ অংশে সংজ্ঞামূলক প্রশ্ন আসতে পারে, থাকতে পারে যে কোনো একটি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নও। বিশ্ব নেতৃত্ব, সাবেক ও বর্তমান ক্ষমতাসীন বিভিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, তাঁদের শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন। জানা প্রয়োজন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রকৃতি, আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, বিভিন্ন দেশের মধ্যে আন্ত:সম্পর্ক। আন্তর্জাতিক ক্ষমতাধর বিভিন্ন রাষ্ট্রের অস্ত্র মজুদ, অস্ত্রনিয়ন্ত্রণ, নিরস্ত্রীকরণ, জাতীয় শক্তি, ক্ষমতা ও ক্ষমতার ভারসাম্য। এ ক্ষেত্রে সাম্প্রতিককালে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশের ভূমিকা ও ক্ষমতার অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণগুলো নোট রাখা প্রয়োজন। জাতীয়তাবাদ, সন্ত্রাসবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। পররাষ্ট্রনীতি, কূটনীতি, বিশ্বায়ন, ভৌগোলিক ভারসাম্য, প্রাকৃতিক সম্পদ, বৈশ্বিক পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশগত নানা সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
এ অংশের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক। মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থা, বাণিজ্য ঘাটতি, বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, আঞ্চলিকীকরণ, আঞ্চলিক বাণিজ্যে বিভিন্ন বাণিজ্য সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে। বৈশ্বিক দারিদ্র্য, বৈদেশিক সাহায্য, বিদেশি বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এর প্রভাব সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বৈদেশিক সাহায্য, ঋণের পরিমাণ, বিনিয়োগের পরিমাণ, সমস্যা ও সম্ভাবনা ইত্যাদি সঠিক তথ্য দেওয়া এবং এ সকল তথ্য-উপাত্তের সূত্র উল্লেখ করা বেশি নম্বর পেতে সহায়ক হবে। প্রশ্নগুলো যেহেতু ৪ নম্বরের, তাই সংক্ষেপেই উত্তর করতে হবে। যতটুকু তথ্য প্রয়োজন এবং প্রশ্নে যা চাওয়া হয়েছে তা-ই লিখতে হবে তবে নূন্যতম এক-চতুর্থাংশ পৃষ্ঠা (Quarter Page) ভূমিকা লেখা বাঞ্চনীয়। বিষয়বস্তুর বাইরে অপ্রাসঙ্গিক কোনো কিছু না লেখায় ভালো, এতে কেবল সময়ই নষ্ট হবে এবং বেশি নম্বর পাওয়া যাবে না।
‘বি’ পার্টে ৪টি প্রশ্নের মধ্যে তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১৫। সব প্রশ্নের উত্তর হবে বিশ্লেষণমূলক। এই অংশে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর বিশদ আলোচনা করতে হবে। সিলেবাসের আওতাভুক্ত বিষয়ের মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘ ও এর কর্মপদ্ধতি, প্রধান ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান, বিশ্বের প্রধান সমস্যা ও দ্বন্দ্ব, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি ইত্যাদি। জাতিসংঘ কিভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক বা অর্থনৈতিক সম্পর্ক-এ ধরনের বিষয়ে বিশদ আলোচনামূলক প্রশ্ন থাকতে পারে। উত্তর যত বেশি তথ্যবহুল হবে, ভালো নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে। এই অংশে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনে পরিমাণগত তথ্যাবলী ব্যবহার করলে উত্তর অনেক সমৃদ্ধ হবে।
‘সি’ পার্টে ১৫ নম্বরের সমস্যা সম্বলিত একটি প্রশ্ন আসবে এবং একটি প্রশ্নেরই উত্তর দিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, অস্ত্র ব্যবস্থাপনা, বৈদেশিক সাহায্য, বৈশ্বিক পরিবর্তন, জঙ্গিবাদ, জলবায়ুর পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণ সম্পর্কিত প্রশ্ন আসতে পারে। প্রশ্নের ধরন হবে সমস্যার সমাধানমূলক। সমস্যা সম্বলিত এ প্রশ্নের উত্তরে সমাধান কী হতে পারে-তা তুলে ধরতে হবে। তথ্য-উপাত্তসহ সারণি, ম্যাপ, চার্ট, ও সূত্রাবলী উল্লেখপূর্বক পয়েন্টাকারে যুক্তিযুক্ত সমাধান তুলে ধরে বিশ্লেষণ করতে পারলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে।
পরীক্ষার শুরুতেই যেসব প্রশ্নের উত্তর দিবেন তা বাছাই ও সময় নির্ধারণ করতে হবে। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের জন্য ২ থেকে ৪ মিনিট এবং ১৫ নম্বরের প্রশ্নের জন্য ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় রাখা উচিত। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের আগে কী জানতে চেয়েছে তা ভালোভাবে বুঝে নিন। উত্তর লেখার শুরুতেই কী কী তথ্য উপস্থাপন করবেন তা ঠিক করে নিন। প্রশ্নোত্তরের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করুন। শুধু বর্ণনামূলক উত্তর পরীক্ষকের কাছে একঘেয়ে মনে হবে। বর্ণনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সারণি, ছক, গ্রাফ, চার্ট আকারে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই তথ্যের সূত্র উল্লেখ করতে হবে। অনেকে অপ্রাসঙ্গিগ ও বেমানান ও নিজস্ব বানানো বা মনগড়া তথ্য দেয়, এতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সর্বশেষ অংশের ভালো প্রস্তুতির জন্য বিগত দুই-এক বছরে ঘঠে যাওয়া দেশি-বিদেশী গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর ওপর জোর দেয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশী পত্র-পত্রিকার ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখুন এবং যেসব তথ্য গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, সেগুলো বিষয় ভিত্তিক নোট করে রাখুন। প্রতিটি বিষয়ে যথাসম্ভব তথ্য সংগ্রহ করে পাঠ্যাভাস করুন। ফেসবুক ও ইন্টারনেটেও পেতে পারেন প্রয়োজনীয় তথ্য। প্রতিদিন দৈনিক পত্রিকার বিশেষ করে ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর সম্পাদকীয় ও আন্তর্জাতিক পাতায় নিয়মিত চোখ রাখুন। ভালো প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর নিয়মিত উত্তরের কাঠামো (Structure) রচনার অনুশীলন করুন।
সর্বোপরি, বিসিএস আবশ্যিক বিষয়গুলোর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আন্তর্জাতিক বিষয়। আন্তর্জাতিক ঘটনাবলি নানা মাত্রায় বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। এই বিষয়ে পড়তে হয় আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সামরিক ও বিভিন্ন যুদ্ধ-বিগ্রহের ইতিহাস। আয়ত্ব করতে হয় বিশ্বের নানা ধরনের সংগঠন, কূটনৈতিক অবস্থান ও ভূ-রাজনীতি। এ বিষয়ে যথেষ্ট তথ্যবহুল ও মানসম্মত, পরিপক্ষ ও পা-িতপূর্ণ লেখা না হলে আশানুরূপ নম্বর পাওয়া বেশ কঠিন। আন্তর্জাতিক বিষয়ে রেকর্ড মার্কস প্রাপ্তির পরামর্শগুলো নিম্নে প্রদত্ত হল।
■ আন্তর্জাতিক বিষয়ে রেকর্ড মার্কস প্রাপ্তির পরামর্শসমূহ:
১. যে সকল পরীক্ষার্থীর ইংরেজি ভাষা জ্ঞানের ওপর যথেষ্ট দক্ষতা আছে এবং ফ্রি-হ্যান্ডে তাৎক্ষনিকভাবে ইংরেজি লিখতে সক্ষম তাদের উচিত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়টি ইংরেজিতেই উত্তর দেয়া। এতে করে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির পরিভাষা (Terminology) অতি সহজে বিশ্লেষণ করা সহজতর হবে, যা বাংলায় করা অনেক কষ্টসাধ্য ও দুরুহ। এছাড়া, ইংরেজিতে উত্তর করলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অনেক জঠিল বিষয় অতি সহজে এবং কম ব্যাখ্যায় বা অল্প কথায় প্রকাশ করা যায়।
২. পরীক্ষার হলে প্রশ্ন হাতে পাওয়ার সাথে-সাথেই কাল-বিলম্ব না করে সহজতর প্রশ্নগুলো প্রথমেই নির্দিষ্ট করে নিতে হবে এবং এক মিনিটে আলাদা কাগজে যথার্থ উত্তরের একটি কাঠামো (Answers’ Structure) বা ছক তৈরি করে নিতে হবে। উল্লেখ্য যে, সময় সল্পতার জন্য ১০টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে এই কাঠামো তৈরি করার প্রয়োজন নেই। তবে ৩টি বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নের উত্তর ও সর্বশেষ তথা সমস্যার সমাধান প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই উত্তর লেখার পূর্বেই একটু চিন্তা করে কাঠামো তৈরি করা একান্ত প্রয়োজন। এতে উত্তরের মান ভালো হবে।
৩. প্রশ্নের উত্তরের সাথে সম্পর্কিত চিত্র, চার্ট, সারণি, নিজস্ব রচিত বা সৃজনশীল মডেল, ইক্যুয়েশন সম্বলিত উত্তর অনেক বেশি সমৃদ্ধ হয় এবং রেকর্ড নম্বর পেতে খুবই সহায়ক। কাজেই গুণগত ব্যাখ্যার পাশাপাশি পরিমানগত তথ্যের উপস্থাপন সমৃদ্ব বিশ্লেষণমূলক উত্তর রেকর্ড মার্কস পেতে সহায়তা করবে। তবে অপ্রাসঙ্গিক চিত্র না দিয়ে ফ্রি হ্যান্ডে চিত্র আঁকুন, স্কেল ধরে সময় নষ্ট না করে সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন।
৪. প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের পরিধি প্রায় সমপরিমাণ হওয়া উচিত। অর্থাৎ সমমানের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরের পরিমাণে সামঞ্জস্য থাকা বাঞ্চনীয়। যেমন ৪ নম্বরের একটি প্রশ্নের উত্তরে ৪ পৃষ্ঠা লিখে পরের একই মানের প্রশ্নের উত্তরে ১ বা ২ পৃষ্ঠা লিখা অবাঞ্চনীয়। প্রতি ১ নম্বরের জন্য ১০-থেকে ১৫ লাইনের ১ পৃষ্ঠা লিখা যুক্তিযুক্ত। এ ক্ষেত্রে বলা প্রয়োজন যে, উত্তরের পরিধি বা পরিমাণ অনেকাংশে নির্ভর করে প্রশ্নের ধরনের ওপর। কোনো-কোনো প্রশ্নের উত্তর অনেক সংক্ষিপ্ত হয়- সেক্ষেত্রে উত্তরের পরিমাণ কম হওয়াটাই স্বাভাবিক এবং যথার্থ।
৫. প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর (প্রথম প্রশ্ন ব্যতীত), উত্তর পত্রের ডান পৃষ্ঠার ওপর থেকে শুরু করা উচিত, কারণ এতে পরীক্ষকের জন্য প্রশ্নের উত্তর অতি সহজেই খুজে পেতে বা দেখতে সুবিধা হয়। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের শেষ অংশ বা উপসংহার পরিকল্পিতভাবে বাম পৃষ্ঠায় শেষ করতে হবে- যাতে পরবর্তী প্রশ্ন ডান পৃষ্ঠার ওপর থেকে শুরু করা যায়।
৬. আন্তর্জাতিক বিষয়ে রেকর্ড মার্কস পেতে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে নূন্যতম ১টি সূত্র (Reference) অথবা ১টি পাদটীকা (Footnote) দেয়া বাঞ্চনীয়। স্মর্তব্য যে, উত্তর পত্রে দুইভাবে সূত্র উপস্থাপন করা যায়: অপরের উক্তি লিখার পর তাৎক্ষনিকভাবে প্রথম ব্রাকেটের মধ্যে অথবা সমগ্র উত্তরের শেষে উপসংহার লিখে সর্বশেষে সূত্র উল্লেখ করা যেতে পারে। পক্ষান্তরে পাদটীকা লিখতে হয় একই পৃষ্ঠার সর্বনীচে এবং এ ক্ষেত্রে পাদটীকাটি স্কেল দিয়ে মার্জিন করে আলাদা করা দৃষ্টি নন্দন বা শোভনীয় হয়।
৭. বাংলা ভাষায় প্রদত্ত উত্তরের বেলায় ইংরেজি ভাষায় যদি কোনো পরিভাষাগত (Terminological) শব্দ ব্যবহার করা হয় (যা করা দূষনীয় নয়) তবে সেই শব্দগুলোর অর্থ প্রথম ব্রাকেটে দেয়া একটি বুদ্বিদৃপ্ত একাডেমিক বৈশিষ্ট্য এবং এতে লেখার গুণগত মান ও উৎকর্ষ বৃদ্ধি পায় বিধায় রেকর্ড মার্কস আশা করা যায়। ইংরেজি শব্দের ব্যাখ্যা যদি ৫-থেকে ১০টি শব্দ বা ততোধিক হয়-তবে তা পাদটীকায় দেয়া অধিকতর শ্রেয়।
৮. যে সকল প্রশ্নের উত্তর জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতি ও অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত, সে সকল প্রশ্নের উত্তরে অবশ্যই মানচিত্র (Map) দেয়া উচিত। ব্যবহারিত মানচিত্রের ক্রমিক নং (Serial No) এবং শিরোনাম (Title) উল্লেখ করা দক্ষ ও অভিক্ষ লেখকের পরিচয় বহন করবে এবং এতে পরীক্ষক ঐ পরীক্ষার্থীকে রেকর্ড নম্বর দেয়া উচিত (Well, if the examiner is academically sound and well-versed with foreign degrees).
৯. প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে ৩ রকম কলমের কালি ব্যবহার করা উচিত এবং এতে করে পরীক্ষার্থীর খাতার শ্রিবৃদ্ধিসহ লেখার উপস্থাপনে মননশীলতার পরিচয় পাওয়া যাবে। প্রতিটি প্রশ্নের শিরোনাম (যেমন ১ নং প্রশ্নের উত্তর ...) লিখতে একই রংয়ের কালি ব্যবহার করুন। মূল উত্তর লিখতে কালো রংয়ের কালি ব্যবহার করুন এবং সর্বোপরি, চার্ট, সারণি, মানচিত্র, মডেল, পাদটীকা, সূত্র এবং এদের শিরোনাম লিখুন হালকা নীল অথবা আকাশি রংয়ের কালি দিয়ে। কোনো অবস্থাতেই পরীক্ষার খাতায় লাল রং ব্যবহার করা যাবে না।
১০. অর্থনীতি সম্পর্কিত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণগত (Quantitative or numerical) তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে প্রশ্নের উত্তরকে অনেক সমৃদ্ধ করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যবহারিত তথ্যের সূত্র উল্লেখ করা বাঞ্চনীয়। সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যামূলক কোনো প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে অবশ্যই নূন্যতম ২ থেকে ৩ জন বিশেষজ্ঞের সংজ্ঞা “ইনভাইটেড কমার” মধ্যে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। সবশেষে উপর্যুক্ত সংজ্ঞার আলোকে নিজস্ব মতামত দেয়া জরুরি।
আরো পড়ুন: ঢাবি ছাত্রের পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা পুলিশের!
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়