ক্ষমতায় এলে তরুণদের বিশেষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা : জয়
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ব্যাহত হবে, তাই উন্নয়নের স্বার্থে ৩০ ডিসেম্বর সকলের নৌকায় সমর্থন দেয়া উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, আবারো ক্ষমতায় এলে তরুণদের কর্মসংস্থানে বিশেষ মনোযোগী হবে আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার বেসরকারি মালিকানাধীন সময় টেলিভিশন পরিদর্শনে এসে এ কথা জানান প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ আবারো নির্বাচিত হলে দেশে ইন্টারনেটের মূল্য পর্যায়ক্রমে আরো কমানো হবে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ওয়াদা ছিল- ডিজিটাল প্রযুক্তিতে পাল্টে দেয়া হবে সামগ্রিক চিত্র। প্রতিশ্রুতি ছিল- প্রত্যন্ত গ্রামেও পৌঁছে দেয়া হবে ইন্টারনেটের সেবা।
সজীব ওয়াজেদ জয় মনে করেন, গেল ১০ বছরে নীতিগত সিদ্ধান্তে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটির ঘরে। যেখানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নিবন্ধিত গ্রাহকই ৫ কোটির ওপরে। দেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে তরুণসহ সব ভোটারকে নৌকার পক্ষে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
নৌকার পক্ষে ভোট না দিলে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে আশঙ্কা প্রকাশ করে জয় বলেন, আমাদের ইশতেহারে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। যেটা গত ১০ বছর ধরে আমরা করে যাচ্ছি। তরুণরা আমাদেরকে জানিয়েছেন, দুর্নীতি নিয়ে তারা চিন্তিত। যদি নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করে তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো আমরা। নৌকায় ভোট দিলে যত ওয়াদা আছে, আমরা পূরণ করতে থাকবো। নৌকায় ভোট না দিলে গত দশ বছরের যত উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়েছে, তা বন্ধ হয়ে যাবে। ১ এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৮০ হাজার টাকা, সেটা এখন নেমে এসেছে ৬০০ টাকায়। আমরা ওয়াদা করেছি, প্রত্যেক বছর ইন্টারনেটের দাম কমাতে থাকবো।
উল্লেখ্য গত ১০ বছরে ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন সোয়া দুই কোটি তরুণ ভোটার। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ফলাফলের নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারেন তারা। একথা মাথায় রেখেই নির্বাচনের অংশগ্রহনকারী দলগুলো তাদের ইশতেহার প্রদান করে এবল শুরু থেকেই প্রচারনায় তরুনরা প্রাধান্য পাচ্ছে।