নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর ইরানে হামলার হুমকি ট্রাম্পের, হামাসকেও হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাস যদি নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ায় না যায় বা অস্ত্র সমর্পন না করে তাহলে তাদের কঠিন মূল্য পরিশোধ করতে হবে। আর ইরান যদি তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি ফের চালু করতে চায়, তাহলে হামলা করে তা প্রতিহত করা হবে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্প এই হুমকি দেন।
জানা গেছে, তাদের এ আলোচনা মূলত গাজায় ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া আগের স্থগিত যুদ্ধ বিরতি এবং ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহ সংক্রান্ত ইসরায়েলের উদ্বেগ নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
ট্রাম্প বলেন, গাজায় ইসরায়েল বন্ধ হওয়া যুদ্ধের শর্ত পালন করছে, যদিও প্রায় প্রতিদিনের হামলায় অন্তত ৪০০ জন নিহত হয়েছেন। আমরা হামাস এবং নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের খুব সংক্ষিপ্ত সময় দেওয়া হবে অস্ত্র সমর্পনের জন্য এবং আমরা দেখব এটি কীভাবে কাজ করে। যেভাবে তারা সম্মত হয়েছিল সেভাবে যদি তারা এতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের জন্য কঠোর পরিণতি অপেক্ষা করছে। আমরা চাই না এটা হোক।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের শোক
প্রথম ধাপের স্থগিত যুদ্ধ চুক্তি গত ১০ অক্টোবর কার্যকর হয়, যা হামাসের কাছে থাকা ইসরাইলি বন্দিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, সহায়তা বাড়ানোর ব্যবস্থা এবং গাজার আংশিক ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার শর্ত ছিল। তবে হামাস এখনও এক ইসরায়েলি বন্দির দেহ ফেরত দেয়নি এবং ইসরায়েল সহায়তার প্রবেশ সীমিত করেছে এবং রাফাহ ক্রসিং খোলার কাজ বিলম্বিত করছে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প এই বিলম্বের দায় একমাত্র হামাসকে দিয়েছেন। হামাস আগেও বলেছে, ইসরায়েলি দখল চলা অবস্থায় তারা অস্ত্র ছাড়বে না, তবে সেটি পার্শ্বে রেখে ৭ থেকে ১০ বছরের দীর্ঘ স্থগিত যুদ্ধের প্রস্তাব দিয়েছে।
ট্রাম্প আরও ইঙ্গিত দেন, গত জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ইরান তাদের পারমাণবিক স্থাপনা পুনঃনির্মাণে কাজ করছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইরান আবার শক্তি সঞ্চয় করতে চাচ্ছে, যদি তা করে তবে আমাদের তাদেরকে ধ্বংস করতে হবে। আমরা তা করব। আশা করি, তা ঘটছে না।
তিনি বলেন, পুনর্গঠনের চেষ্টা করলে আমাদের খুব দ্রুত তা নির্মূল করার কোনো বিকল্প থাকবে না এবং এর পরিণতি ‘আগের চেয়ে ভয়ংকর’ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা।