৭ দেশের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে শিখদের বিক্ষোভ বুধবার
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের সাবেক মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ ঘটিয়েছে বলে দাবি করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন পাঞ্জাবের স্বাধীনতাকামী শিখ জনগোষ্ঠীর একাংশ। আগামীকাল বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দেশগুলোর স্থানীয় সময় বেলা ১২টায় ভারতীয় দূতাবাসগুলোর সামনে বিক্ষোভ করবেন তারা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা শিখস ফর জাস্টিসের (এসএফজে) জেনারেল কাউন্সেল গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুন এক ভিডিও বার্তায় এই ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, ঢাকা, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ইতালির মিলান, কানাডার টরন্টো ও ভ্যাঙ্কুভার এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি শহরে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে এই বিক্ষোভ করবে শিখ জনগোষ্ঠী। এ সময় কনস্যুলেটগুলো বন্ধ করার দাবি জানাবেন তারা।
গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুন বলেন, ‘বুধবার নিজ নিজ স্থানীয় সময় অনুযায়ী দুপুর ১২টায় আমরা ভারতীয় কনস্যুলেটগুলো বন্ধ করার কর্মসূচি পালন করব, যাতে বাংলাদেশে ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে ভারতের সরকারের হত্যার পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরা যায় এবং মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার উৎখাতের পরিকল্পনার বিষয়টি বিশ্ববাসীর সামনে আসে।’
তিনি বলেন, ‘শিখস ফর জাস্টিস বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের গুপ্তহত্যার পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরতে যাচ্ছে। ভারত ইতোমধ্যেই ওসমান হাদিকে হত্যা করেছে। আমরা কর্মসূচি হিসেবে ভারতীয় দূতাবাসগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ডাক দিয়েছি, কারণ এগুলোকে আমরা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’র কেন্দ্র বলে মনে করি। এখান থেকেই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা হয়।’
এই শিখ নেতা আরও বলেন, ‘একইভাবে আমরা ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে দায়ী করছি। তিনিই ওসমান হাদিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন, হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছেন। এই দূতাবাস থেকেই হত্যাকাণ্ড, গুপ্তচরবৃত্তি ও নজরদারির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ কারণে আমরা ঢাকা, ইসলামাবাদ, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ইতালির মিলান, কানাডার টরন্টো ও ভ্যাঙ্কুভার এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে একযোগে কর্মসূচির ডাক দিচ্ছি।’