১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:২২

‘ভারত চুপ থাকবে না’— হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী

হাসনাত আবদুল্লাহ ও হিমন্ত বিশ্ব শর্মা  © সংগৃহীত ও সম্পাদিত

বাংলাদেশ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নতুন করে কূটনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত এক সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে সম্মান না করে, তবে বাংলাদেশ ভারতবিরোধী শক্তি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিতে পারে। তিনি অভিযোগ করেন, ভারত অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিস্থিতি তৈরি করছে।

আরও পড়ুন: সচিবালয়ের ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বহিষ্কার

সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ভারতের কোনো প্রচেষ্টা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হলে তার প্রতিরোধ সীমান্ত পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিনি দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

এই বক্তব্যকে ভারতীয় কর্মকর্তারা ‘বিপজ্জনক’ বলে নিন্দা করেছেন। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করা বা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে যুক্ত করার ধারণা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তিনি জানান, সম্প্রতি এ ধরনের বক্তব্য বারবার শোনা যাচ্ছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।

হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ভারত একটি বড় দেশ, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতি। এ ধরনের মন্তব্য বাস্তবতা বিবর্জিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, শত্রুতামূলক আচরণ অব্যাহত থাকলে ভারত নীরব থাকবে না এবং প্রয়োজনে কঠোর অবস্থান নিতে পারে।

উল্লেখ্য, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরা—এই সাতটি রাজ্য রয়েছে। এর মধ্যে চারটি রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত রয়েছে।