১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৯

ইংরেজি পরীক্ষায় কঠিন প্রশ্ন, প্রধান পরীক্ষকের পদত্যাগ

ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছেন ভর্তিচ্ছুরা  © সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তি পরীক্ষার (সুনেউং) ইংরেজি অংশে অসম্ভব কঠিন প্রশ্ন করায় প্রধান পরীক্ষক পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষার্থীরা এটিকে প্রাচীন লিপি বোঝার মতো জটিল এবং পাগলাটে বলে অভিহিত করেছেন। খবর বিবিসি।

এবছর পরীক্ষার পর প্রশ্ন নিয়ে কঠোর সমালোচনা তৈরি হয়। পরে দায়িত্বে অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে প্রধান পরীক্ষককে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।

সুনেউং প্রধান ওহ সেউং-গল বলেছেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে সেই সমালোচনা গ্রহণ করি যে প্রশ্নগুলোর কঠিন... অনুপযুক্ত ছিল। তিনি বলেন পরীক্ষাটি ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি’ , যদিও এটি বেশ কয়েকবার সম্পাদনার মধ্য দিয়ে গেছে।

সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নগুলোর মধ্যে একটি ইমানুয়েল কান্তের আইন দর্শন সম্পর্কিত, আরেকটি ভিডিও গেম জার্গন সম্পর্কিত। সর্বশেষটি, যা তিন পয়েন্টের, শিক্ষার্থীদের একটি প্রদত্ত অনুচ্ছেদে একটি বাক্য কোথায় বসানো উচিত তা নির্বাচন করতে বলা হয়।

অনেকে প্রশ্ন এবং অন্যান্য কিছু প্রশ্নের লেখার ধরনকে সমালোচনা করেছেন। এক ব্যবহারকারী Reddit-এ এটিকে ‘ফ্যান্সি স্মার্ট টকিং’ বলেছে, আবার অনেকে বলেছেন এটি ভয়ানক লেখা। ভাব প্রকাশ করতে পারছি না।

এই পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা ৭০ মিনিট সময় পান ৪৫টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য। এই বছরের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ৩% এর বেশি ইংরেজি অংশে সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়েছে, যা গত বছরের ৬%-এর তুলনায় কম।

ইংরেজি ভাষার অধ্যাপক জং চায়ে-কওন বলেন, ইংরেজি পরীক্ষা কঠিন বলা ভুল। ‘টেক্সটগুলো অসম্ভব নয়, কিন্তু… বিভ্রান্তিকরভাবে জটিল। এটা শিক্ষার জন্য উপকারী নয়। ‘শিক্ষকরা পরীক্ষার কৌশল শেখানোর উপর জোর দেন, ইংরেজি শেখানোর উপর নয়... পুরো টেক্সট পড়ার দরকার নেই যদি আপনি কৌশল জানেন,’ তিনি বলেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সুনেউং, যা প্রতি নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়, একটি  আট ঘণ্টার পরীক্ষা যা কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ নির্ধারণ করে না, বরং চাকরি, আয় এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও প্রভাব ফেলে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ের প্রায় ২০০টি প্রশ্নের উত্তর দেয়, যার মধ্যে কোরিয়ান, গণিত, ইংরেজি, সামাজিক ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত। অনেক কিশোর-কিশোরী তাদের পুরো জীবনই এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয় – কেউ কেউ চার বছর বয়স থেকে প্রাইভেট টিউশন সেন্টার বা “ক্র্যাম স্কুলে” পাঠানো হয়।