বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি: পাঁচ দিন পর ৯ জেলে উদ্ধার, নিখোঁজ ৬
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবে যাওয়া একটি ফিশিং ট্রলারের ১৫ জেলের মধ্যে পাঁচ দিন পর ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ জেলে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ভোরে উদ্ধার হওয়া জেলেদের কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের শরীরে তীব্র ক্লান্তি ও পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা গেছে।
উদ্ধারকৃত জেলেরা হলেন— রাজিব, রাহাত, হাসান, হাসান-২, সাগর, সাগর-২, গিয়াস, হারুন-২ ও ইব্রাহিম। নিখোঁজ রয়েছেন— আব্দুর রশিদ, নজরুল ইসলাম, রফিক, ইদ্রিস, হারুন ও কালাম।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৩ জুলাই (বুধবার) সকালে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতি বাজার এলাকা থেকে ছয়টি মাছ ধরার ট্রলার একযোগে গভীর সমুদ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এর মধ্যে ‘এফবি সাগরকন্যা’নামের একটি ট্রলার ২৬ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরের শেষ বয়া থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার গভীরে প্রবল ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, তারা জাল ফেলতেই হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। এক বিশাল ঢেউ ট্রলারটি দুমড়ে-মুচড়ে ফেলে দেয়। মুহূর্তেই এক জেলে নিখোঁজ হয়ে যান। বাকি ১৪ জন বাঁশ, জাল ও ফ্লোটিং সরঞ্জামের সাহায্যে সাগরে ভেসে থাকেন। এর মধ্যে চার দিন পর আরও পাঁচজন নিখোঁজ হয়ে যান। অবশেষে সোমবার রাতে শেষ বয়া এলাকায় ভেসে ওঠা ৯ জেলেকে সেখানকার দুটি মাছধরা ট্রলার উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান জানান, ট্রলার মালিক কিশোর হাওলাদার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছে।