ইরানে মার্কিন হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পর জ্বালানি সরবরাহে আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম বড় ধরনের ঊর্ধ্বগতি পেয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আলজাজিরা।
এএফপির খবরে বলা হয়, শুক্রবার লেনদেন শুরু হওয়ার পরপরই ব্রেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ক্রুড ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) উভয়ই ৪ শতাংশের বেশি বেড়ে জানুয়ারি মাসের পর সর্বোচ্চ দামে পৌঁছায়। যদিও পরবর্তীতে দাম কিছুটা কমে আসে।
গ্রিনিচ মান সময় রাত সাড়ে ১২ টায় ব্রেন্টের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৭৯.২০ ডলার, যা ২.২ শতাংশ বৃদ্ধি। একই সময়ে ডব্লিউটিআই (WTI) ছিল ৭৫.৯৮ ডলার, বেড়েছে ২.১ শতাংশ।
জাপানের এমইউএফজি (MUFG) ব্যাংকের অর্থনীতিবিদরা এএফপিকে বলেন, “এই যুদ্ধের পরিণতি ও স্থায়িত্ব নিয়ে উচ্চমাত্রার অনিশ্চয়তা রয়েছে, যা তেলের দামে ব্যারেলপ্রতি আরও ১০ ডলার বৃদ্ধির পথ তৈরি করতে পারে।”
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে হঠাৎ করে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় উদ্বেগে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা যদি মধ্যপ্রাচ্যে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ে, তবে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। বিশেষত হরমুজ প্রণালী—যে পথে বিশ্বের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ তেল পরিবাহিত হয়—যদি সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়, তাহলে পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে আরও সংকটময়।
উল্লেখ্য, ইরান বিশ্বের নবম বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশ, যেখানে দৈনিক উৎপাদন হয় প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন ব্যারেল। এর অর্ধেকের কিছু কম রপ্তানি করা হয়, বাকি অংশ ব্যবহার হয় অভ্যন্তরীণভাবে।