জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস যোগ হচ্ছে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বইয়ে

২৪ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৫২ PM , আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৩৪ AM
জুলাই আন্দোলন ও এনসিটিবি লোগো

জুলাই আন্দোলন ও এনসিটিবি লোগো © ফাইল ছবি

মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বিশ্বসভ্যতা বিষয়ের বইয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস যুক্ত করা হচ্ছে। এছাড়া উচ্চমাধ্যমিকের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে থাকছে অভ্যুত্থানের ইতিহাস। আগামী জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে এগুলো যুক্ত করা হবে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া উচ্চমাধ্যমিকের ক্লাস শুরুর আগেই বইগুলো প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। 

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক অংশ যোগ করা হয়েছে, সেটিও আগামী বছরের বইয়ে বহাল থাকবে। অর্থাৎ, গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত মূল বিষয়বস্তুতে কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না। তবে বইয়ের ওই অধ্যায়ে কিছু তথ্যগত অসঙ্গতি এবং ভাষাগত ত্রুটি ধরা পড়েছিল। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ইতিহাসের অংশ হিসেবে পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের একটি নির্দিষ্ট অধ্যায়ে এ বিষয়বস্তু স্থান পাবে। এতে মূলত স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানগুলোর চিত্র তুলে ধরা হবে। এর মধ্যে থাকবে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ। প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীর বয়স ও মানসিক পরিপক্বতা বিবেচনা করে বিষয়বস্তুর পরিমাণ ও ব্যাখ্যা ভিন্ন ভিন্নভাবে সাজানো হবে বলে।

অপ্রয়োজনীয় পুনরাবৃত্তি বাদ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বাক্যগঠন সহজ ও সাবলীল করা হচ্ছে, যাতে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি আরও পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারে। শিক্ষার্থীরা যেন গণঅভ্যুত্থানের সঠিক ইতিহাস জানতে পারেন এবং একই সঙ্গে বিষয়বস্তুর মানও উন্নত হয়, সে চেষ্টা করছেন তারা। গত সোমবার ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক অনুমোদন নিয়ে আয়োজিত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) বৈঠকে বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হয়।

এনসিসি সূত্র জানিয়েছে, এবার জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ইতিহাসের অংশ হিসেবে পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের একটি নির্দিষ্ট অধ্যায়ে এ বিষয়বস্তু স্থান পাবে। এতে মূলত স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানগুলোর চিত্র তুলে ধরা হবে। এর মধ্যে থাকবে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ। প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীর বয়স ও মানসিক পরিপক্বতা বিবেচনা করে বিষয়বস্তুর পরিমাণ ও ব্যাখ্যা ভিন্ন ভিন্নভাবে সাজানো হবে বলে।

জানতে চাইলে এনসিটিবির শিক্ষা ও সম্পাদনা শাখার প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফাতিহুল কাদীর দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পাঠের একটি অধ্যায়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পাঠ যুক্ত করা হচ্ছে। প্রতিটি শ্রেণিতে পাঠের নাম ভিন্ন ভিন্ন দেওয়া হয়েছে। তবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির কোন অধ্যায়ে এটি যুক্ত হবে এবং নাম কি হবে সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি কাজ করছে।’

ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির কোন অধ্যায়ে কী নামে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান
এনসিসি থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের বাংলাদেশের ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘স্বাধীন বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান’ নামে জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস যুক্ত করা হচ্ছে। ৭ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে ‘বাংলাদেশের মক্তির সংগ্রাম ও গণ আন্দোলন’ নামে জুলাই অভ্যুত্থানের পাঠ যুক্ত করা হবে।

আরও পড়ুন: একাদশে দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির আবেদন শেষ আজ

এছাড়া অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম অধ্যায়ের ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় গণঅভ্যুত্থান’ নামে জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাসের পাঠ দেওয়া হবে। অন্যদিকে নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ২১ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘স্বাধীন বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান’ নামে জুলাইয়ের ইতিহাস পড়ানো হবে।

কত বই ছাপানো হবে
এনসিটিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী বছর বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে যে বই পৌঁছে দেওয়া হবে তার মধ্যে প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার। আর মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা ধরা হয়েছে প্রায় ২১ কোটির মতো। সবমিলিয়ে আগামী বছরের জন্য ৩০ কোটির বেশি বই ছাপানো হবে।

আগামী বছরের জন্য মোট বইয়ের সংখ্যা গতবারের তুলনায় কিছুটা কমানো হয়েছে। বর্তমানে সেই বইগুলো ছাপার কার্যক্রম শুরু করেছে এনসিটিবি। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ বইয়ের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করেছে সংস্থাটি।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রাক্‌-প্রাথমিক, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। চলতি মাসেই প্রাক্‌-প্রাথমিক স্তরের বই মুদ্রণের কাজ শুরু হবে। এর পরপরই প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিছু শ্রেণির বইয়ের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলেও জানায় এনসিটিবি। তবে সেসব এখনো ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই সব বই ছাপার কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার জানাজা হতে পারে বুধবার, সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
জকসুতে ভোট দিতে লাইনে শিক্ষার্থীরা, জরুরি সিন্ডিকেট সভায় প্…
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
নির্বাচনে কোনো আসনেই কখনো পরাজিত হননি খালেদা জিয়া
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শেকৃবিতে সিন্ডিকেট সভা ঘিরে উত্তেজনা
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
‘আপসহীন’ খালেদা জিয়ার বর্ণাঢ্য জীবন
  • ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫