নজরুলের কথা চিন্তা করলেই বঙ্গবন্ধুর কথা মনে পড়ে: চবি উপাচার্য

চবি নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের আলোচনা সভা
চবি নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের আলোচনা সভা  © টিডিসি ফটো

'জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের কথা চিন্তা করলেই আমার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা মনে পড়ে যায়। আমার কেন জানি বারবার মনে হয় কবি নজরুল ও বঙ্গবন্ধু একইসূত্রে গাঁথা।' জাতীয় কবির ৪৬ তম জন্মবার্ষিকীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এসব কথা বলেন। 

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে চবি নজরুল গবেষণা কেন্দ্র আয়োজন করে আলোচনা সভা ও সংগীতানুষ্ঠান। সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ২ নাম্বার গ্যালারিতে আয়োজিত হয় এ অনুষ্ঠান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য আরো বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম যেমন সারাজীবন সমাজের শোষিত শ্রেণির পক্ষে লেখালেখি করেছিলেন ঠিক তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও সমাজের শোষিত শ্রেণির পক্ষে ও শোষককের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।  

প্রধান আলোচক হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহিত উল আলম। তিনি বলেন, কবি নজরুলের সাহিত্য দর্শন মানুষের শরীর নির্ভর। তাঁর সাহিত্যে মানুষের পেটের ক্ষুদার কথা এসেছে আগে এবং পরে এসেছে আত্মার কথা। নজরুল তার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছিলেন যে সমাজে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৌরি হয়েছে। এ উপলব্ধি থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি তার লেখনিতে সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে বৈষম্যের বিষয়টি চিত্রায়ণ করেছেন এবং সাম্যভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়েছিলেন। 

তিনি আরো বলেন, আধ্যাত্মিক দিক থেকে নজরুলের চিন্তা ছিল অত্যন্ত উচু মানের। তাঁর সাহিত্য বিশ্লেষণ করে আমি এমন কিছু দেখেছি যেখানে তাঁর আস্তিক্যবাদী বিশ্বাসের প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি ধর্মকে তার গভীরে ধারণ করতে পেরেছিলেন বলেই অসাম্প্রদায়িক হতে পেরেছিলেন। তিনি দেখিয়েছিলেন ধর্ম কখনো অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ শেখায় না। 


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চবি নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উপস্থাপক মন্দিরা চৌধুরী ও বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নজরুল গবেষক বাবলা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম।

অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্ব শেষে দুপুর একটায় অনুষ্ঠিত হয় সংগীতানুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা এতে সংগীত পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে ও কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মহিবুল আজীজ, অধ্যাপক ড. সেকান্দার চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য।


সর্বশেষ সংবাদ