০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:২৯

ঢাবিতে বহিরাগতদের উৎপাত: ‘পাগল’ বলে নেয়া হয় না আইনি পদক্ষেপ

ঢাবি ক্যাম্পাসে ভাসমান মানুষ   © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভাসমান ও মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের অবস্থান বেড়েছে। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে বিধিনিষেধ না থাকায় বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীর মানুষের আনাগোনা এখানে। সম্প্রতি ক্যাম্পাসে মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন লোকের সংখ্যা বেড়েছে বলে অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীদের। এসব ভাসমান মানুষদের হাতে অনেক সময় হেনস্তার শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাসে মূল জায়গাগুলোতে এদের অবস্থান করতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, ক্যাম্পাসে এরকম লোকের যাতায়াত অনেক বেড়ে গেছে। কোন অপরাধ করলেও তাদেরকে 'পাগল', 'নেশাখোর' এসব বলে ছেড়ে দেয়া হয়। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে 'ঢাবি নিরাপত্তা মঞ্চ' নামক গ্রুপে অনেক শিক্ষার্থী স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানান বিভিন্ন সময় এসব উদ্বাস্তু ও ভাসমান ব্যক্তিদের দ্বারা হেনস্তার কথা।  

শিক্ষার্থীরা জানায়, টিএসসি সংলগ্ন ডাসের আশেপাশে এবং শহীদ মিনার রোড এলাকায় বসে থাকতে দেখা যায় মাদকাসক্ত একাধিক লোককে।

আবাসিক হলের এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুক পোস্টে জানান, সন্ধ্যার দিকে শহীদ মিনার রোড থেকে হলে ফেরার পথে একজন লোক তার পিছু নেয়, যাকে দেখে মানসিক ভারসাম্যহীন এবং মাদকাসক্ত মনে হচ্ছিল। একপর্যায়ে লোকটি অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে তাকে উত্যক্ত করতে শুরু করে। তখন আতংকিত হয়ে তিনি দ্রুত হলে ঢুকে যান।
 
অন্য এক নারী শিক্ষার্থীর ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন আরেক নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি, তখন উপস্থিত জনতা লোকটিকে সামান্য মারধর করে ছেড়ে দেন, কিন্তু কোন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, কারণ আক্রমণকারী লোকটিকে পাগল বলে অনুমান করা হয়।

আরও পড়ুনঃ ভাসমানদের ভয় তাড়া করছে ঢাবি ছাত্রীদের

জানা যায়, গতবছর একাধিকবার এরকম ঘটনার ভুক্তভোগী হন অনেক ঢাবির শিক্ষার্থী, বিশেষ করে ছাত্রীরা। ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান পাগল ও ভবঘুরদের অপসারণের দাবি তোলা হলেও অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। 

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীর কাছে। তিনি বলেন, 'যেহেতু উন্মুক্ত ক্যাম্পাস, তাই সবসময় বহিরাগতদের প্রবেশের ব্যাপারটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। প্রক্টোরিয়াল টিম যথাসম্ভব চেষ্টা করছে এরকম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার। করোনাকালীন সময়ে অনেক উদ্বাস্তু মানুষ ক্যাম্পাস এলাকায় খাবার পাওয়ার আশায় ভীড় করেছিল, এখনো অনেকেই আসেন। তবে সম্প্রতি হয়েছে বলে শুনিনি। এমন কিছু হলে প্রক্টোরিয়াল টিমের কাছে জানালে, আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।’