০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৩২

সংঘর্ষে জড়ালো ছাত্রলীগ, মাশুল গুনবে শিক্ষার্থীরা

ক্যাফেটেরিয়া  © ফাইল ছবি

বিনা টাকায় ক্যাফেটেরিয়ায় খাওয়া নিয়ে গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সেই জেরে কলেজের ক্যাফেটেরিয়াটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে কলেজের অন্য শিক্ষার্থীদের।

রবিবার (৪ আগস্ট) সকালে ক্যাফেটেরিয়া বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ। 

তিনি বলেন, আমাদের ক্যাফেটেরিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কলেজ ক্যান্টিন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার করোনা আক্রান্ত। তিনি সুস্থ হলে পরবর্তী পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

গতকাল রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং ডাকা হয়েছে সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। আমাদের হোস্টেল সুপাররাও সেখানে থাকবেন। তবে আমাদের ক্যাম্পাসে কোনো গুলির ঘটনা ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলে গতকাল অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানে আতশবাজি ফুটানো হয়। এর ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

ঢাকা কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রতিদিন ক্যান্টিনে খাওয়া-দাওয়া করি। এ অবস্থায় ক্যান্টিন বন্ধ হলে খাব কোথায়। বাইরে খাবারের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি আবার খাবারও অনেক ক্ষেত্রে মানসম্মত না। এভাবে একদল মারামারি করবে আর আমাদের ভুগতে হবে, এটা কেমন কথা? 

আরও পড়ুন: ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

গত বৃহস্পতিবার ক্যাফেটেরিয়ায় খেয়ে টাকা না দেওয়া ও ক্যান্টিন ম্যানেজার টাকা চাওয়ায় উল্টো ক্যান্টিনে তালা দেওয়ায় সাউথ ব্লকের শিক্ষার্থীদের মারধরের শিকার হয় নর্থ ব্লকের ছাত্রলীগ কর্মী ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হাসান জিওন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার সাউথ ব্লকের আল আমিন নামের এক শিক্ষার্থীকে রাত সাড়ে ৮টায় একা পেয়ে নর্থ ব্লকের কিছু শিক্ষার্থী মারধর করে। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্লক দুটির শিক্ষার্থীরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, রড, রামদা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা সংঘর্ষ চলার পর সাড়ে ১০ টার দিকে সংঘর্ষ থামে। এতে ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, করোনাকালে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে ক্যাফেটেরিয়া চালু করা হয়। সাউথ ব্লকের এক শিক্ষার্থী ক্যান্টিন পরিচালনায় যুক্ত থাকায় নর্থ ব্লকের ছাত্ররা ফ্রি খাওয়া, চাঁদাবাজি করতে পারছিল না। এ নিয়ে মাসখানেক ধরে ঝামেলা চলছিল। মূলত এর জেরেই বিরোধের সূত্রপাত ঘটে।