শাটল ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ষড়যন্ত্র করেছিলেন যোবায়ের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসনের মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী জোবায়ের হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার এজহারে তার বিরুদ্ধে শাটল ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনাসহ আরও একাধিক অভিযোগে কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট (বুধবার) বেলা ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে বাস চালুর দাবিতে গোলচত্বর এলাকায় মানববন্ধন করেন জোবায়েরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। এরপর তিনিসহ অন্তত আটজনকে প্রক্টর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে যান সহকারী প্রক্টর গোলাম কুদ্দুস ও হাসান মুহাম্মদ রোমান।
পরে বাকিদের ছেড়ে দিয়ে জোবায়েরকে আটকে রাখেন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। তাকে সেখানে ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শেষে রাতে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: দিনভর আটকে রেখে রাতে ছাত্রকে পুলিশে দিলেন চবির প্রক্টর
পরে ওদিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে জোবায়েরের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, জোবায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ষড়যন্ত্র করেছেন। পাশাপাশি তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা, রাষ্ট্রবিরোধী দলের সদস্যপদ গ্রহণ এবং রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টা চালান। এ কারণে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, জোবায়ের গত ২৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মশৃঙ্খলাবহির্ভূত কোনো কাজে জড়িত থাকবে না বলে অঙ্গীকারনামা দিয়েছিলেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে শাটল ট্রেনে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করার অভিযোগ ছিল। তাই বুধবার তাঁর গতিবিধিতে সন্দেহ হলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপরে যাচাই-বাছাই শেষে জোবায়েরের বিরুদ্ধে মামলা হয়।