২৫ আগস্ট ২০২২, ১০:৫১
স্বপ্ন পূরণে ঢাবিতে ভুয়া পরিচয়ে ক্লাস করতেন, গিয়েছেন ট্যুরেও
স্বপ্ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পড়ার। ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চান্স না পেয়ে স্বপ্ন বাঁচাতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন সাজিদুল কবির। ঢাবির শিক্ষার্থী না হয়েও তিনি ৩ বছর ধরে ক্লাস ও ইনকোর্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। তবে চূড়ান্ত কোন পরীক্ষায় অংশ নেননি তিনি। ঢাবি ছাত্রের পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে তুলেছেন তিনি।
বুধবার (২৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের একটি কোর্সের ইনকোর্স পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষকদের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন সে বৈধ কোনো পরিচয় দেখাতে পারেনি। এ সময় জানা যায়, তিনি ঢাবির শিক্ষার্থী নন।
পরে সাজিদকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সাজিদ তিন বছর ধরে ২০১৮-১৯ সেশনের হয়ে ক্লাস করেছেন, ব্যাচের অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ট্যুরেও গিয়েছেন। নানা সময়ে গ্রহণ করেছেন মেধাবী সংবর্ধনাও।
জিজ্ঞাসাবাদে সাজিদ জানায়, ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়ার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাননি। তাই তার স্বপ্ন বাঁচাতে ওই বিভাগে বিভিন্ন সময়ে ক্লাস করেছেন। তবে কোনো চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেননি। ইনকোর্স পরীক্ষা দেয়ার সময় শিক্ষকদের বলতেন তার রোল আসেনি।
আরও পড়ুন: হলে মধ্যরাতে ঢাবি ছাত্রদের ‘সিট চাই’ বলে স্লোগান
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষা চলাকালে একটি রোল নম্বরে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন ওই শিক্ষার্থী। কিন্তু ওই রোল নম্বর তার নয়। তাকে প্রাথমিকভাবে আমরা বিভাগের ছাত্র নয় বলে ধারণা করেছি। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় তার ছাত্রত্ব সংশ্লিষ্ট কোন কিছুই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে নেই। পরে ভুয়া শিক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় তার ছাত্রত্ব সংশ্লিষ্ট কোন কিছুই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে নেই। পরে ভুয়া শিক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।