রাবির বুক থেকে কমে গেছে ৩ একরের অধিক জায়গা
১৯৫৩ সালে ৭৫৩ একরের বিশাল জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে উত্তরবঙ্গের খ্যাতনামা বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। যাত্রাকাল থেকেই শিক্ষা ও সংস্কৃতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এ বিদ্যাপীঠ। তবে সম্প্রতি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩ একরের অধিক জায়গা নিয়েছে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৫০ একর বা ৩০৩ হেক্টর। রাবির বুক থেকে নাই হয়ে গেলো ৩ এককের অধিক জায়গা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৫ সালের শুরুর দিকে তৎকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২তম উপাচার্য অধ্যাপক মিজানউদ্দিনের আমলে নাটোর রোডের অক্টর মোড় (রুয়েট) হতে রাজশাহী বাইপাস রোড (খড়খড়ি পয়েন্ট পর্যন্ত) রাস্তা প্রশস্তকরণ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট ৫ দশমিক ৫৫ একর জায়গা নেয়ার আবেদন করে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
আবেদনের প্রেক্ষিতে সেই বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটে ৩ দশমিক ১৮ একর জায়গা প্রদানের অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। অনুমতি পেলে রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয়। সেই কাজ এখনও চলমান রয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু জায়গা কমে মূল জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৪৯ দশমিক ৮২ একর বা প্রায় ৭৫০ একর।
আরও পড়ুন: ম্যাথ না দাগিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার সুযোগ বন্ধের দাবি
২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় (নারকেলবাড়ীয়া ক্যাম্পাসসহ) বর্তমানে প্রায় ৭৫০ একর জমি রয়েছে। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নগরীর খড়খড়ি বাইপাস থেকে এক কিলোমিটার দূরে নারকেলবাড়ীয়ায় অবস্থিত। যার আয়তন প্রায় সাড়ে ১৩ একর।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. জাহিদ আলী বলেন, ২০১৫ সালে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য ৫ দশমিক ৫৫ একর জায়গা নেয়ার আবেদন করে। যা পর্যালোচনা করে ৩ একরের কিছু বেশি বা প্রায় ১০ বিঘার মতো জমি হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের শেষে জমি হস্তান্ত করা হলে কাজ শুরু করে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, রাজশাহী নগরীর মতিহার থানায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর ক্যাম্পাস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। যার পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তে বুথপাড়া ফায়ারসার্ভিস মোড়, পূর্ব-উত্তরে বুথপাড়া ও মেহেরচন্ডি, দক্ষিণে বিনোদপুর ও কাজলা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে কাজলার অন্তর্গত অক্টের মোড় পর্যন্ত ক্যাম্পাসের সীমানা বিস্তৃত।