টিএসসিতে ঢাবি ছাত্রীকে মারধর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) মারধর ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন এক ঢাবি ছাত্রী। এ ঘটনায় ৫ থেকে ৬ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় জিডি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রী।
অভিযোগের সূত্র ধরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাইদুল খান কৌশিক নামের এক শিক্ষার্থীকে থানায় হস্তান্তর করেছে প্রক্টর অফিস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার (১ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৭টায় টিএসসিতে বসে এক যুবকের সাথে গল্প করছিলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। পরে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন যুবক তাদের সাথে কথা-কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে দু’জনকেই মারধর করেন।
আরও পড়ুন: জাবি ইংরেজি বিভাগে প্রথম হলেন মোস্তাফিজুর
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। অভিযোগ সূত্র ধরে টিএসসির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রাথমিক ভাবে আব্দুল্লাহ আল মারুফ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পায় প্রক্টর অফিস। পরে মধুর ক্যান্টিনে ওই ছাত্রকে ধরতে গেলে রাইদুল খান কৌশিক নামের আরেক শিক্ষার্থীর কথা বলেন মারুফ। কৌশিকের খোঁজ পেয়ে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেন প্রক্টর অফিস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগী। জিডির একটি কপিও আমার কাছে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার যৌথ প্রক্রিয়ায় মামলার কাজ চলমান।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমরা এখনো কোনো কনক্লুশনে পৌঁছাতে পারিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাইদুলের এক বন্ধু জানান, রাইদুল খান কৌশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে পছন্দ করতেন তিনি। কিন্তু ভুক্তভোগী রাজি ছিলেন না।
তবে এই বিষয়ে জানতে চাইলে কৌশিক বলেন, তাঁকে আমি চিনি। সে আমার ডিপার্টমেন্টের। কিন্তু টিএসসিতে কি হয়েছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি কৌশিক।