২৭ জুলাই ২০২২, ১৫:৫৯

পুরুষদের কোটা দেয়ার সময় এসেছে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি  © সংগৃহীত

গত কয়েকবছরে পুরুষদের চেয়ে নারীরা এখন অনেক এগিয়ে গেছে। এখন পুরুষদের কোটা দেয়ার এসছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

ডা. দীপু মনি বলেন, একটা সময় নারীরা পিছিয়ে ছিলো তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য ৩০% কোটা দেয়া হয়েছিলো। তবে গত কয়েক বছরে কোটা ছাড়াই নারীরা পুরুষদের চেয়ে এগিয়ে আছে। নারী শিক্ষায় আমরা অনেক এগিয়েছি। এখন পুরুষদের কোটা দেয়ার সময় এসেছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গিয়ে দেখি স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ৭০ শতাংশই নারী। কাজেই পুরুষদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে তারা যেন অন্য সবকিছুর পাশাপাশি পড়াশোনাও করে।

এদিকে আজ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী সারা দেশে স্বাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ। স্বাক্ষরতার হারে বর্তমানে নারীদের চেয়ে এগিয়ে আছে পুরুষরা।

আরও পড়ুন: তালাকে শীর্ষে রাজশাহী, অবিবাহিত বেশি সিলেটে

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী দেশে স্বাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ৭৬.৫৬ শতাংশ এবং নারীদের স্বাক্ষরতার হার ৭২.৮২ শতাংশ। এই হার ২০১১ সালের আদমশুমারিতে ছিল ৫১.৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ছিল ৫৪.১১ শতাংশ এবং নারীদের স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৯.৪৪ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে হিজড়াদের স্বাক্ষরতার কোনো হিসাব না থাকলেও এবারের জনশুমারিতে হিজড়া জনগোষ্ঠীদের স্বাক্ষরতার হার ৫৩.৬৫ শতাংশ।

প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন বলেন, মোট স্বাক্ষরতার সর্বোচ্চ হার ঢাকা বিভাগে; ৭৮.০৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন হার ময়মনসিংহ বিভাগে; ৬৭.০৯ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে স্বাক্ষরতার হার ছিল ৫১.৭৭ শতাংশ। বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১১ সালে বরিশাল বিভাগে স্বাক্ষরতার হার ছিল সর্বোচ্চ ৫৬.৭৫ শতাংশ এবং সিলেট বিভাগে স্বাক্ষরতার হার ছিল  সর্বনিম্ন ৪৫.০১ শতাংশ।