গভীর রাতে চবির আবাসিক হলে পুলিশের অভিযান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে আবাসিক হলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযানে কাউকে আটক করা যায়নি।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত শাহ আমানত হলে এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডির নেতৃত্বে হাটহাজারী থানা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সদস্যরা অংশ নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিউদ্দিন সুমন বলেন, রাতে চবির আমানত হলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে অভিযানে কাউকে আটক করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, সন্দেহভাজন একজন হলে অবস্থান করছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দুই জন জড়িতকে শনাক্ত করেছি। তারা হলো ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মেহেদি হাসান হৃদয় ওরফে বান্টি ও ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ আজিম হোসেন। তাদের আটক ও অন্যদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।
তবে এর আগেই শুক্রবার রাতে র্যাব এই দুই জনকে গ্রেফতার করেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ বিষয়ে প্রক্টর বলেন, তাদেরকে গ্রেফতার বা আটক করার বিষয়ে কেউ কোনও তথ্য জানায়নি। এ বিষয়ে র্যাব-৭ এর কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ১৭ জুলাই রাতে ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে পাঁচ তরুণের বিরুদ্ধে। পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কতৃপক্ষ। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত ২০ ও ২১ জুলাই দফায় দফায় আন্দোলন করে চবি শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ এ ঘটনায় জড়িত দুই জনকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে তদন্তের স্বার্থে শনাক্তদের পরিচয় জানানো হয়নি।