চবি ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় ‘স্তম্ভিত’ মহিলা পরিষদ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে মহিলা পরিষদ। একইসঙ্গে পরিষদের পক্ষ থেকে নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিও জানানো হয়। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) মহিলা পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
মহিলা পরিষদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত এবং তাঁদের চলাচলের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
‘‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে যৌন নিপীড়নের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় না এনে ছাত্রীদের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ধরনের প্রস্তাবে আমরা স্তম্ভিত।’’
আরও পড়ুন: সেই রাতের ঘটনায় চবি শিক্ষার্থীরা জড়িত— সন্দেহ প্রক্টরের
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কার্যকর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে যৌন নিপীড়ন, উত্ত্যক্তকরণ বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের আলোকে যৌন নিপীড়ন নিরোধ গঠন ও কার্যকর করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় পাঁচ তরুণের হাতে যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেন এক ছাত্রী। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা বন্ধু ও তাঁকে মারধর করে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনতাই করা হয় বলে ওই ছাত্রী জানান।