দেশের প্রথম ক্যাম্পাসভিত্তিক আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর উদ্বোধন
দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসভিত্তিক আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (৬ জুলাই) সকালে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ নির্মাণের অংশ হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) এই ইনকিউবেটর উদ্বোধন করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের নামানুসারে এই ইনকিউবেটরের নাম রাখা হয় ‘চুয়েট শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’।
ইনকিউবেটরের লক্ষ্য আইটি উদ্যোক্তাদের বিকাশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার জন্য জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি সম্প্রসারণ করা। এখানে স্টার্ট আপ এবং ব্যবসার জন্য সম্পূর্ণ উদ্ভাবনী ইকো-সিস্টেম রয়েছে যেখানে প্রায় ২২০ জন উদ্যোক্তা, প্রশিক্ষণার্থী, ফ্রিল্যান্সার এবং সম্ভাব্য স্টার্টআপকে মেন্টরশিপের পাশাপাশি আর্থিক ও লজিস্টিক পরিষেবা দেওয়া হবে।
চুয়েট ক্যাম্পাসে ১১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ দশমিক ৭ একর জায়গার ওপর নির্মিত এই ইনকিউবেটরটিতে রয়েছে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ। ১০ তলার এই বিল্ডিংয়ে সব মিলিয়ে ৫০ হাজার বর্গফুট জায়গা রয়েছে।
এ সময়, প্রধানমন্ত্রী শেখ জামাল ও রোজী জামালের নামে দুটি পৃথক চারতলা ডরমিটরির উদ্বোধন করেন। ভবন দুটির মোট আয়তন ৪০ হাজার বর্গফুট এবং প্রতিটি ডরমিটরিতে ৪০টি কক্ষ রয়েছে। এ ছাড়া, একটি ৬ তলা বহুমুখী প্রশিক্ষণ ভবনও উদ্বোধন করা এদিন। বহুমুখী প্রশিক্ষণ ভবনে ২৫০ জন ধারণ ক্ষমতার একটি অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম এবং ৫০ জন ধারণ ক্ষমতার চারটি কম্পিউটার/সেমিনার কক্ষ রয়েছে।
ইনকিউবেশন ভবনটিতে একটি স্টার্টআপ জোন, ইনোভেশন জোন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিক জোন, ব্রেনস্টর্মিং জোন, একটি এক্সিবিশন সেন্টার, একটি ই-লাইব্রেরি জোন, একটি ডেটা সেন্টার, রিসার্চ ল্যাব, ভিডিও কনফারেন্সিং রুম এবং একটি কনফারেন্স রুম রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংক এবং আইটি ফার্ম, সাইবার ক্যাফে, ফুড কোর্ট, ক্যাফেটেরিয়া, রিক্রিয়েশন জোন, ডিসপ্লে জোন এবং মিডিয়া রুমগুলোর জন্য আলাদা কর্নার থাকবে।
একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যাব, একটি মেশিন লার্নিং ল্যাব, একটি অপটিক্যাল ফাইবার ব্যাকবোন, একটি সাবস্টেশন এবং একটি সোলার প্যানেলও স্থাপন করা হচ্ছে।