রাবিতে রোগ নির্ণয়ে চালু অত্যাধুনিক সাত যন্ত্র, সেবা মিলবে বহু
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২২, ০৪:২৫ PM , আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২২, ০৪:২৫ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে রোগ নির্ণয়ে চালু হয়েছে অত্যাধুনিক সাতটি যন্ত্র। ফলে উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি মিলবে বহু সেবা। রবিবার (৩ জুলাই) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে এসব যন্ত্রপাতির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
জানা গেছে, মেডিকেল সেন্টারের ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ এ রোগ নির্ণয়ক অত্যাধুনিক ৭টি ডায়াগনোসিস যন্ত্র চালু হয়েছে। যারমধ্যে রয়েছে- আল্ট্রাসাউন্ড মেশিন ভল্যুশন পি৮, অটোমেটেড বায়োকেমিস্ট্রি অ্যানালাইজার, সিসমেক্স এক্সএন-৩৫০ ফুল্লি অটোমেটেড হেমাটোলজি অ্যানালাইজার, অটোমোটেড হিউমোটলজি অ্যানালাইজার সিসমেক্স এক্সএন-৩৫০, হিউমালাইজার-৩০০০, মাইক্রোওয়েভ ডাইথারমি (এমডাব্লিউডি) ও ইউএসটি (আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি)।
নতুন এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বহু ধরনের সেবা পাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। এর মধ্যে প্যাথোলজি ইউনিট থেকে সিবিসি (টিসি ডিসি এইচবি% ইএসআর), সিপিবিএফ (ব্লাড ফিল্ম), স্টুল আর/এম/ই, ইউরিন আর/এম/ই, এইচবি%, এমপি (ম্যালেরিয়াল প্যারাসাইটস), প্লাটিলেট কাউন্ট, ব্লাড সুগার, টিসিই (টোটাল সার্কুলেটিং ইওসিনোফিল), সিরাম বিলিরুবিন, ওয়াইডাল টেস্ট, ওয়েইল ফেলিক্স টেস্ট, এস ক্রিয়েটিনিন, লিপিড প্রোফাইল, এ.এস.ও, এস. ইউরিক এসিড, এসজিপিটি (এএলটি), রেড টিউব, ইডিটিএ টিউব, ভ্যাকিউম নিডল, সিআরপি, এস ইলেকট্রোলাইট, ডি- ডাইমার, এইচবিএসএজি, এইচবিএ ১ সি, ডেঙ্গু টেস্ট করানো যাবে।
আরও পড়ুন: ঢাবির আরবি বিভাগের উন্নয়ন ফি মওকুফ
অন্যদিকে ই সি.জি ইউনিট থেকে ইসিজি, আই ইউনিট থেকে আই রিফ্র্যাকশন, ডেন্টাল (ওপিজি) থেকে ডেন্টাল এক্স-রে (ওপিজি) ফিল্ম (১০-১২), আলট্রাসনোগ্রাফি ইউনিট থেকে হোল অ্যাবডোমিন, লোয়ার অ্যাবডোমিন, আপার অ্যাবডোমিন, প্রেগনেন্সি প্রোফাইল, জেনিলো ইউরিনারি সিসটার্ম, হেপাটো ব্রিলিয়ারি সিস্টেম টেস্ট করানো যাবে।
এমনকি হাই রেজোল্যুশন আলট্রাসনোলজি ইউনিট থেকে হাই রেজোলুশন আলট্রাসাউন্ড, অ্যানোমালি স্ক্যান, বায়োফিজিক্যাল প্রোফাইল, থাইরয়েড/ব্রেস্ট/টেস্টিস/আই/নিওনেটাল অ্যান্ড পেডিয়াট্রিক ব্রেইন, ডপলার সিঙ্গেল লিম্ব, ডপলার ক্যারোটিড, ৪ডি প্রেগনেন্সি প্রোফাইল, কালার প্রিন্ট করতে পারবে রোগীরা। ফিজিওথেরাপি ইউনিট থেকে ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ, আলট্রাসাউন্ড আই.আর.আর (ইনফ্রা রেড রে) অ্যান্ড আদারস ও ডেন্টাল ইউনিট থেকে পার্মানেন্ট ফিলিং, এক্সট্রাকশন, স্ক্যালিং, ওপারকুলেকটোমি সেবা পাবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
রোগ নির্ণয়ের এসব যন্ত্রপাতি উদ্বোধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারিরা যাতে প্রয়োজনীয় সকল সেবা নিতে পারেন, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আগেও এই চিকিৎসা কেন্দ্রে অনেক ধরণের রোগ নির্ণয় করা হতো। তবে সেগুলোর ধরণ ছিল ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। কিন্তু বর্তমানে থাকা মেশিনের অধিকাংশই অটোমেশন পদ্ধতি রোগ নির্ণয় উপযোগী। ফলে এখানে জটিল কোন রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হবে।
তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা সেবার গুণগত মান বৃদ্ধির পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে অত্যধুনিক এসব যন্ত্রপাতি সহায়তা করবে বলেও আশাবাদী উপাচার্য।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম, কোষাধ্যাক্ষ অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে, চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক ড. তবিবুর রহমানসহ অন্যান্য চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।