নাঈম ও মেহেদী ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শামীম, তরিকুল ও মোস্তফা ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী।
অনশনে বসা পাঁচ শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষক উৎপল কুমারের হত্যাকারী গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন।
অনশনকারীদের একজন নাঈম পারভেজ বলেন, ‘শিক্ষক হলেন জাতি গড়ার কারিগর। এমনই একজন শিক্ষক ছিলেন উৎপল কুমার সরকার। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার হত্যাকারী গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।’
গত শনিবার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির এক ছাত্র ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে শিক্ষক উৎপল কুমারকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। সোমবার হাসপাতালে তিনি মারা যান। উৎপল কুমার হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত স্কুলছাত্রের বাবাকে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অভিযুক্ত স্কুলছাত্র এখনো পলাতক।
উৎপল কুমার হত্যায় জড়িত ছাত্রকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।