২৬ জুন ২০২২, ১৮:৪৭

ছুটির দু’দিন আগে হল ত্যাগের নির্দেশকে অযৌক্তিক বলছেন ইবি শিক্ষার্থীরা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

পবিত্র ঈদুল-আযহা উপলক্ষে আগামী ২ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আজ রবিবার (২৬ জুন) বিকালে এক অফিস আদেশে ছুটি শুরুর দু'দিন আগেই আগামী ৩০ জুন সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ছুটি শুরুর আগেই হল বন্ধের নির্দেশের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি। শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পিয়াস পান্ডে বলেন, ছুটি শুরুর আগে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। অনেকের সামনে পরীক্ষা। বাড়িতে পড়াশোনা না হওয়ায় হলে থেকে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ভাবছে। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে পুনর্বিবেচনা করার আহবান জানাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চয়মুন নাহার বলেন, বুধবার সবার ক্লাস-পরীক্ষা চলবে আর পরের দিন সকাল ১০ টার মধ্যে হল ছাড়তে হবে। বলাএই সময়ের মধ্যে ক্যাম্পাসে স্টুডেন্ট কিভাবে যানবাহন পাবে। বিশেষ করে যাদের বাসা দূরে। প্রশাসন শিক্ষার্থীর ভোগান্তির কথা ভাবলে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারত না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বলেন,  হল বন্ধের সিদ্ধান্ত ছাত্রছাত্রীদের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যারা  টিউশনি করে নিজের পড়াশোনার খরচ নির্বাহ করে। টিউশনের বেতন সাধারণত  ৩-৫ তারিখের মধ্যে পায়। এমতাবস্থায় হল বন্ধ হওয়ায়  বেতন তো দুরের কথা টিউশনি ধরে রাখা সম্ভব হবে না। আবার অনেক বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা চলমান হল বন্ধ হওয়ায় প্রস্তুতির ব্যাপক বাধা হয়ে দাড়াবে। যা ফলাফলের উপর বিরুপ প্রভাব পড়বে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সবুজ হোসেন বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধের আগেই হল বন্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। এমন সিদ্ধান্ত ইতোপূর্বে কখনো নেওয়া হয়নি। ২৯ তারিখ ক্লাস করে রাতেই রওনা দেওয়া বিপাকে পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মু. আতাউর রহমান বলেন, প্রভোস্ট কাউন্সিল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটার ভিত্তিতে চিঠি করা হয়েছে।

প্রভোস্ট কাউন্সিলর সভাপতি অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, সব হলের প্রভোস্টের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।