নিজস্ব আয়ের নতুন খাত খুঁজে বের করতে হবে: ঢাবি কোষাধ্যক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এই ঘাটতি মেটাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়ের নতুন নতুন খাত খুঁজে বের করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে বার্ষিক অধিবেশন বাজেট উত্থাপনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাবি কোষাধ্যক্ষ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয়। ফলে নিজস্ব তহবিল থেকে ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে না। প্রতি বছর তহবিলের ঘাটতি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নতুন আয়ের উৎস খুঁজে বের করতে হবে অথবা সরকারের নিকট হতে বিশেষ অনুদান চাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস নেন না—অতিরিক্ত সচিব
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বারের মত বাজেট তৈরীতে বাজেট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও বাজেট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সহায়তা নেয়। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের জন্য সিন্ডিকেট ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার প্রস্তাবিত অনুন্নয়ন ব্যয় অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ ৬৭১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা মোট ব্যয়ের ৭২.৮৫%। গবেষণা মঞ্জুরী বাবদ ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা যা মোট ব্যয়ের ১.৬৪%; অন্যান্য অনুদান বাবদ ৩৩ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা যা প্রস্তাবিত ব্যয়ের ৩.৬৪%; পণ্য ও সেবা বাবদ ১৭৯ কোটি ৯৯ লক্ষ ৮ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ১৯.৫২% এবং মূলধন খাতে ২১ কোটি ৯৫ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ২.৩৯%
বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (বিমক) থেকে পাওয়া যাবে ৭৮১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৮৩ কোটি টাকা এবং ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৬.২৪%। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের মূল বাজেটে বিমক-এর অনুদানের তুলনায় ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বিমক-এর বরাদ্দ ৫০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বাড়বে।