১০ জুন ২০২২, ০৯:১২

সিট দখলে নিতে ঢাবির পর চবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, ভাঙচুর

ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আবাসিক হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (০৯ ‍জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ক্যাম্পাসের শহীদ আবদুর রব হলে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের উপপক্ষ বাংলার মুখ ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস। 

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, শহীদ আবদুর রব হলের ২৪৭ নম্বর কক্ষে ৪টি আসন রয়েছে। তিনটি আসন বাংলার মুখের (বিএম) কর্মীদের দখলে। আর একটিতে থাকেন ভার্সিটি এক্সপ্রেসের এক কর্মী (ভিএক্স)। তবে বিএমের তিনটি আসনে থাকতেন পাঁচজন।

জানা যায়, এদিন বিকেলে হলের কক্ষ দখলে নিতে দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হলে ঘটনাটি ছড়িয়ে গেলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা হলেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পরে রাত দশটার দিকে ভার্সিটি এক্সপ্রেসের কর্মীরা বাংলার মুখের কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দেখা যায়। ককটেল বিস্ফোরণ ও ৮টি কক্ষ ভাঙচুর করেন ভার্সিটি এক্সপ্রেসের কর্মীরা।

পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। আহতরা সবাই বাংলার মুখের কর্মী। তবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: সিট দখল নিয়ে ঢাবির হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ

বিএমের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আবু বক্কর বলেন, কক্ষের আসন নিয়ে জুনিয়রদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চলছে। ভিএক্সের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তীও একই কথা বলেছেন।

শহীদ আবদুর রব হলের প্রভোস্ট ও প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক হলে উপস্থিত হই। উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেছি। প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন মিলে বিষয়টি সমাধানের দিকে যাচ্ছি। ৪ জনের মত আহত হয়েছেন, তবে কারো অবস্থা গুরুতর না।

এর আগে, গত রবিবার (৫ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা হল ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ চলে।