রাবি ছাত্রীর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত চান সহপাঠীরা
রাজধানী ঢাকায় স্বামীর বাড়িতে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিশা মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা। আজ সোমবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।
দুই দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- দিশা মৃত্যুর ময়নাতদন্ত নিশ্চিত করা এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে তার মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করা।
এসময় দিশার সহপাঠী আসলাম হোসেন বলেন, দিশা একজন উৎফুল্ল মেয়ে। কোন কারণ ছাড়া সে কখনো এমন সিদ্ধান্ত নেবে না। আমরা খবর পেলাম তার ময়নাতদন্ত করতেও তার পরিবারের সদস্যদের অনিহা আছে। তাই আমরা চাই, আমাদের সহপাঠীর এমন মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত হোক। এছাড়া অকালে এভাবে সহপাঠীর চলে যাওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সহপাঠীরা।
এর আগে, আজ দুপুরে ঢাকায় স্বামীর বাড়ি থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া দিশার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তার গ্রামের বাড়ি যশোর জেলায়। তিন দিন আগে দিশা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকায় শ্বশুরবাড়িতে যায়।
জানা গেছে, দু-বছর আগে তার বিয়ে হয়। স্বামীর ব্যবসা সূত্রে প্রতি সপ্তাহে তিনি ঢাকায় যেতেন। আজ দুপুরে নিজ রুমে ফাঁস দেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
রাবির নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম ফারুক হোসাইন বলেন, সে মারা গিয়েছে এটা আমি নিশ্চিত হয়েছি। তবে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।