০১ জুন ২০২২, ১২:১২

বিভাগের করিডোরে দাঁড়িয়ে থাকায় শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধর 

জাবি   © সংগৃহীত

বিভাগের করিডোরে দাঁড়িয়ে থাকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরের শিকার মো. মাশরুল আলম আজমী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮তম ব্যাচের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাশরুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত জাবি শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের জাহিদ হাসান ও মো. নাঈম হাসান। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।

প্রক্টর বরাবর দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুপুরে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের করিডোরে স্ত্রীর জন্য দাঁড়িয়েছিলেন মো. মাশরুল আলম। এ সময় একই বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম তাকে হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বিভাগে যেতে নিষেধ করেন। এক পর্যায়ে মাশরুলের বন্ধু এগিয়ে আসলে তাকেও গালাগালি করেন তিনি। 

জানা গেছে, এ ঘটনায় নিচে নামার পর অভিযুক্তরা মাশরুল ও তার বন্ধুর ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদ ইট দিয়ে মাশরুলকে আঘাত করেন ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান জানান, মাশরুল বিভাগের করিডোরে প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকে। এ নিয়ে অনেকে আমাদের নিকটে অভিযোগ দেয়। এজন্য তাকে করিডোর থেকে চলে যেতে বলি। আমি তাকে মারধর করিনি, শুধু নিজের ডিফেন্স করেছি। মূল ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটেনি, আরেকজনের সঙ্গে ঘটেছে।

এদিকে  এ ব্যাপারে জানতে আরেক অভিযুক্ত নাঈমের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন জানান, ঘটনাটি শুনেছি। সে ছাত্রলীগ করুক বা আমার হলে থাকুক অপরাধী তো অপরাধীই। যদি সে অপরাধ করে থাকে এবং উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ থেকে থাকে তবে এর কঠোরতর বিচার হোক। 

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকেও পাওয়া যায়নি।