ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাবির মামলা, আসামি ৪০০
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যকার সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত তিন থেকে চারশ জনকে আসামি করে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (২৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, দুটি ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সম্পদহানী, জাতীয় সম্পদ নষ্ট, পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা নষ্ট, সিনেট শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা এবং নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত কর্মীদের ওপর হামলার দায়ে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: ঢাবি প্রক্টর
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন হচ্ছিল। এ সময় একদল দুষ্কৃতকারী লাঠি, রড ও নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগের সামনে এক জোট হয়ে নির্বাচন বানচাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত করতে অপতৎপরতা শুরু করে। বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানালে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখান থেকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুনরায় শিক্ষা ভবনের সামনের দিক থেকে ৩০০-৪০০ জন দুষ্কৃতকারী কার্জন হলের গেট দিয়ে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় গেটের নিরাপত্তা প্রহরী কামাল হোসেন তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার মাথায় লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করতে গেলে তিনি হাত দিয়ে তা ঠেকানোর চেষ্টা করেন। এতে তার হাত জখম হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বহনে ব্যবহার করা দুটি বিআরটিসি বাস ভাঙচুর করে জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা হয়।
দুটি ছাত্র সংগঠনের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী এস্টেট ম্যানেজার মো. আলী আশ্রাফ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২ জনকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
শাহবাগ থানার ওসি মওদূত হাওলাদার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নষ্ট করা, সরকারি কাজে বাঁধাদান, নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর, বাস ভাঙচুর করার অভিযোগে অজ্ঞাতনামায় তিনশ থেকে চারশ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে। এ মামলায় আটক ২ জনকে কোর্টে চালান করেছি।