মেডিকেলের ভুলে চবিতে ভর্তি হতে পারছেন না ৩ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২০-২১ সেশনে ভর্তিচ্ছু তিন শিক্ষার্থী জন্মগতভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার কর্তৃক ‘অপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যার ফলে তারা যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত কোটায় ভর্তি হতে অসমর্থ হন। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তিনজনের ভর্তির ব্যাপারে প্রশাসনকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। সোমবার (২৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, ২০২০-২১ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় মো. সোহেল রানা, উৎস সিদ্দিকী এবং মো. কাজিমউদ্দীন এই তিনজন জন্মগতভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার কর্তৃক ‘অপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ফলে তারা যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত কোটায় ভর্তি হতে অসমর্থ হন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হলেও প্রশাসন বিষয়টি দেখবে বলেও সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সোহেল রানা বলেন, আমি জন্ম থেকেই চোখে দেখতে পাই না। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শনাক্ত ব্যক্তি হিসেবে সরকারি সনদও আমার কাছে রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল টিম আমাকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। তাদের মেডিকেল ত্রুটির জন্য আমি প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি হতে পারছি না।
মানববন্ধনে থার্ড আইয়ের প্রধান মাশরুর ইশরাক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল টিমের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও ভর্তি হতে পারছে না, যা রীতিমতো অন্যায়। প্রশাসন বিষয়গুলো বুঝতে পেরেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, যা আমাদের হতাশ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মেডিকেলের তথ্য অনুযায়ী ভর্তি নেওয়া হয়। ভর্তি কমিটির সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করলেই বুঝতে পারব তাদের এখন ভর্তি করানো যাবে কি না। তবে সবকিছু আরও ভালোভাবে না জেনে এখনই তাদের ভর্তির বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।