ঢাবির দুই বিভাগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা
নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ এবং অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পালি ও বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। বিভাগীয় চেয়ারপারসন ড. নীরু বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের সাফল্য কামনা করে বলেন, জ্ঞান অর্জন ও জ্ঞান চর্চার উৎকৃষ্ট স্থান বিশ্ববিদ্যালয়।

উপমহাদেশে জ্ঞানচর্চা ও বিভিন্ন বিদগ্ধ পণ্ডিতের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। 

এছাড়া বই পড়া ও মুক্ত বুদ্ধি চর্চার মাধ্যমে জ্ঞানের জগতকে সমৃদ্ধ করে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান এবং অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মজিবুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মারুফা জেরিন আখতার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের কৃতী শিক্ষার্থীদের পদক ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, উচ্চশিক্ষা ব্যতীত একটি জাতি কখনও উন্নতি করতে পারে না। 

তিনি বলেন, পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে জ্ঞানের জগতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটছে। এতে যেমন বিভিন্ন সুযোগ তৈরি হচ্ছে তেমনি আমাদের নানারকম চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে টিকে থাকার জন্য ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। 

এছাড়া শ্রেণিকক্ষে পড়াশোনার পাশাপাশি সহ-শিক্ষামূলক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ, মৌলিক গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রতিও মনোযোগ দেওয়ার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।


সর্বশেষ সংবাদ