ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র প্রধানের দায়িত্বে শাস্তি হওয়া ঢাবির সেই অধ্যাপক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের একাডেমিক পরীক্ষার ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিভাগটির বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনসহ দুই শিক্ষককে তিন বছরের জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় এই শাস্তি দেওয়ার ৬ মাস না পেরোতেই একটি পরীক্ষায় (ভর্তি) কেন্দ্র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনকে। অব্যাহতির দেওয়ার পরও তাকে এই দায়িত্ব দেওয়ায় বিম্ময় প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে শিক্ষক।
জানা যায়, আগামীকাল শুক্রবার (২০ মে) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনের সমন্বয়কারীরর দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান।
গত ১৭ মে অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বরাবার পাঠানো অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ২০ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা মাননীয় উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে জীববিজ্ঞান অনুষদ সমন্বয় করছে। পরীক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আপনাকে (অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন) কেন্দ্র প্রধান হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আপনার অধীনে নির্দিষ্ট সংখ্যক কক্ষ ব্যবহৃত হবে এবং এ কাজে আপনার বিভাগের ১ জন ৩য় শ্রেণি এবং ১ জন ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ওই সময় কাজে নিয়োজিত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার ফলে অনিয়ম করায় ঢাবির দুই শিক্ষককে অব্যাহতি
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রবীর কুমার সরকারের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি রেজিস্ট্রার অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (প্রশাসন-১) মো. দেলোয়ার হোসেনের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ বিষয়ে আমি জানি না। কিছু কিছু কাজ প্রশাসনিকভাবে করাতে পারে। এসময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।
অব্যাহতি পাওয়ার পরও অধ্যাপক বাহাউদ্দিনকে কেন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এ বিষয়ে জানতে জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল ও খুদে বার্তা দেয়া হলেও তিনি কোন সাড়া দেয়নি।