এশিয়ার সেরা দুই হাজারেও নেই বাংলাদেশের কোনো গবেষক
সম্প্রতি আলপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র্যাংকিং- ২০২২ এ বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বিশ্বের ২১৬টি দেশের ১৫ হাজার ৪৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ লাখ ৬ হাজার ৫৮৭ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের বিগত ৫ বছরের গবেষণার এইচ-ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স এবং সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে র্যাংকিংটি প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের ১৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ হাজার ৭৭৬ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান করে নিয়েছেন।
বিশ্বের সেরা ১০০০ গবেষকের তালিকা দেখুন এখানে
আন্তর্জাতিক মানের এ সূচকটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যমতে, ১২ ক্যাটাগরিতে গবেষকদের ভাগ করা হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে-কৃষি ও বনবিদ্যা; শিল্পকলা, নকশা এবং স্থাপত্য; ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা; অর্থনীতি; শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি; ইতিহাস; দর্শন; ধর্মতত্ত্ব; আইন; চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান; প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং সামাজিক বিজ্ঞান।
এইচ-ইনডেক্স স্কোরের উপর ভিত্তি করে বিশ্বের সেরা গবেষক, প্রতিটি মহাদেশ ভিত্তিক সেরা গবেষক এবং দেশ ভিত্তিক সেরা গবেষকের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য মতে, বিশ্ব র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা গবেষকের নাম এইচ যে কিম, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংপুক ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির গবেষক। তালিকায় সেরা দশটির ৭টিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। বাকি দুটি দক্ষিণ কোরিয়ার এবং অপরটি জাপানের।
এশিয়ার সেরা ১০ হাজার গবেষকের তালিকা দেখুন এখানে
এশিয়া র্যাংকিংয়েরও শীর্ষে রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংপুক ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির গবেষক এইচ যে কিম। তালিকায় সেরা দশটির ৫টিই দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। বাকি ৪টি চীনের এবং অপরটি জাপানের। তালিকায় ১৪ নম্বরে পার্শ্ববতী দেশ ভারতের গবেষকের নাম থাকলেও সেরা একশ তো দূরের কথা, সেরা দুই হাজারেও নেই বাংলাদেশের কোনো গবেষকের নাম।
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য মতে, এশিয়ার সেরা ১০ হাজার গবেষকের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ২ হাজার ২২৫ নম্বরের রয়েছে প্রথম বাংলাদেশি গবেষকের নাম। শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষকের নাম মির্জা হাসানুজ্জামান। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে তার অবস্থান ২৪ হাজার ৪৩৯।
বাংলাদেশের সেরা ২ হাজার গবেষকের তালিকা দেখুন এখানে
ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের সেরা ২ হাজার গবেষকের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে সেরা দশের মধ্যে মাত্র ৪ জন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর বাকি ৬ জন বেরসকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। সেরা দশের মধ্যে যথাক্রমে রয়েছেন- শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মির্জা হাসানুজ্জামান, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ এর মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির শাহ ফারুক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. মনিরুল ইসলাম, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কামরুন নাহার, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ এর রওনক জাহান, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির মো. মেহেদি হাসান, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির নাজমুল আবেদিন খান, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির মো. আরিফুল ইসলাম।
তালিকার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ৫০ জন শিক্ষক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তালিকায় জবির গবেষকদের মধ্যে প্রথম ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৮তম স্থানে রয়েছেন অধ্যাপক কামরুল আলম খান। এডি সাইন্টিফিক গবেষণায় স্থান পাওয়া জবি অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আবদুল্লাহ বলেন, এক কথায় আমি এ ধরনের গবেষণা গ্রহণযোগ্য মনে করি না।
কেন এ তালিকা গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই তালিকায় অনেক ম্যানিপুলেশন আছে, দেখা যাবে অনেক গবেষক আছেন যারা সত্যিকার অর্থে তালিকায় স্থান পাওয়ার যোগ্য তারা স্থান না পেয়ে এ তালিকায় স্থান পেয়েছে যাদের নাম থাকারই কথা না।