করোনা মোকাবিলায় অবদান রাখায় সম্মাননা পেলেন জাবি অধ্যাপক সোহেল
করোনা ভাইরাস মহামারীকালে অবদান রাখার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদকে সম্মাননা প্রদান করেছে গ্রাজুয়েটস বায়োকেমিস্ট এ্যাসোসিয়েশন (জিবিএ)।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ড. কামালউদ্দিন আহমেদ গ্যালারিতে এক সম্মাননা প্রদান ও ইফতার অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমরান কবির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইয়ারুল কবির ও অধ্যাপক হাসিনা খান।
অনুষ্ঠানে জিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক ও একমি এগ্রোভেট এর পরিচালক আবু সাঈদ মোহাম্মদ শামীমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জিবিএ’র সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর, স্বাধীনতা পদক-২০২০ পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হাসিনা খান ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী।
অধ্যাপক হোসেন উদ্দীন শেখর বলেন বলেন, ২০২০ সালের কোভিড-১৯ মহামারির সংক্রমণের সময় নির্ভুলভাবে করোনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার জন্য ডাক্তার, হেলথ টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান ও মেডিকেল সহকারীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট ও মলিকুলার বায়োলজিস্টগন। দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে কেভিড-১৯ সনাক্তকরনে তাদের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই জিবিএ’র এই আয়োজন।
পুরস্কার গ্রহণের পর অধ্যাপক সোহেল আহমেদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, করোনা মহামারীকালে একটি জাতীয় প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছিলাম। এতে দেশ ও জনগণের প্রতি আমাদের যে দায় তা কিছুটা হলেও পূরণ করবার চেষ্টা করেছি। সেই জায়গা থেকে জিবিএ আমাকে সম্মাননা দিয়েছে। এটি আমার জন্য একটি বড় পাওয়া। আশা করছি সামনের দিনে সব ভালো কাজে এটি অনুপ্রেরণা হিসেবে থাকবে। জিবিএ ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আরও পড়ুন: ‘কুত্তা কালাম’ বলে গালি দেয়ায় কামড়িয়ে ৬ জনকে জখম
অধ্যাপক সোহেল আহমেদ ২০০৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ২০১২ সালে প্রক্টর ও ২০২০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জাবিসাসের) উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রভোস্ট, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্টস-এর সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির সদস্য । শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম ছাড়াও নানাবিধ সমাজ হিতৈষী কর্মকাণ্ডে অধ্যাপক সোহেলের সুনাম রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক সোহেল আহমেদ ছাড়াও এশিয়ার নোবেল খ্যাত দ্যা রেমন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড-২০২১ প্রাপ্তির জন্য অধ্যাপক ড. ফেরদৌস কাদরীকে এবং বেসিস লুনা শাসসুদ্দোহা অ্যাওয়ার্ড-২০২১ প্রাপ্তির জন্য অধ্যাপক ড. হাসিনা খানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
গ্র্যাজুয়েটস বায়োকেমিস্ট এ্যাসোসিয়েশন (জিবিএ) বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন। এটি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।