১৬ এপ্রিল ২০২২, ১৭:৩৭

বাসে জাবির দুই ছাত্রীর জামা কেটে দেওয়ার অভিযোগে আটক ১

  © সংগৃহীত

সাভারে চলন্ত বাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুই ছাত্রীর জামার পেছনের দিকের বেশ কিছু অংশ কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় ঠিকানা পরিবহনের একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে বাসের এক ব্যক্তিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন বাসের অন্য যাত্রীরা।

আটক ওই ব্যক্তির নাম মো. হারুন-অর-রশীদ (৫৩)। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার রায়েদ এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন জাবির স্নাতকোত্তর ও আরেকজন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন এমবিএর শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বলেন, আজ সকালে তিনি ও তার ফুফাতো বোন জাবির প্রান্তিক ফটক থেকে ঠিকানা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাসটি হেমায়েতপুর এলাকায় পৌঁছালে তিনি পেছন থেকে শরীরে কোনো কিছুর স্পর্শ টের পান। বিষয়টি প্রথমে তিনি গুরুত্ব না দিয়ে সামনে ঝুঁকে বসেন। কিছুক্ষণ পর তিনি একই অনুভূতি পেলে পেছনে হাত দিয়ে দেখেন জামার বেশ কিছু অংশ কাটা। এ সময় তিনি পেছনে ঘুরে দেখেন হারুন-অর-রশীদ বাসের জানালা দিয়ে একটি কাটার ফেলে দিয়ে তাড়াহুড়া করে সিট থেকে উঠছেন।

এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার করলে বাসের অন্য যাত্রীরা হারুনকে আটক করেন। আটকের পর ওই ব্যক্তিকে হেমায়েতপুর পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, প্রথমে ভেবেছি কেউ হয়তো পেছন থেকে সিটের পেছনের দিকে পা তুলে বসেছে। পরে একই ঘটনা আবার ঘটলে আমি হাত দিয়ে দেখি, আমার জামার পেছনের নিচের দিকে বেশ কিছু অংশ কাটা। আমার ফুফাতো বোনেরও একইভাবে জামা কেটে দেওয়া হয়েছে।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে এক ব্যক্তিকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী মামলার জন্য এসেছেন। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত এ ব্যাপারে মামলা নেওয়া হবে।