রাবিতে সিট বাণিজ্যের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে প্রশাসনের বাধা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২২, ১১:২৯ PM , আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২২, ১২:১৩ AM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আবাসিক হলগুলোতে সিট বাণিজ্যের প্রতিবাদে ছাত্র অধিকার পরিষদের ডাকা অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাধার মুখে এ কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনে সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সিট বাণিজ্যের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতাকর্মী ইফতারের পরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তাদের হাতে সিট বাণিজ্য প্রসঙ্গে লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল। কর্মসূচি শুরুর কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নুর ও প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক।
এ সময় তারা ছাত্র উপদেষ্টা ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের কর্মসূচি পালনে বাধা দেন। ছাত্র অধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতাকর্মীদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন এবং প্ল্যাকার্ড কেড়ে নেন। প্ল্যাকার্ডে ‘সিট বাণিজ্য বন্ধ করো’, ‘ছাত্রলীগ হল চালালে প্রশাসনের কী দরকার’ লেখা ছিল।
ছাত্র অধিকার পরিষদ রাবি শাখার সভাপতি নঈমুল ইসলাম নাঈম বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে ছাত্রলীগের সিট বাণিজ্যের প্রতিবাদ জানাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। কিন্তু ছাত্র উপদেষ্টা এসে আমাদের বলেন, আমরা নাকি তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে কর্মসূচি পালন করতে এসেছি। তিনি আমাদের প্ল্যাকার্ড কেড়ে নেন এবং খারাপ আচরণ করেন। সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য করেন।
এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নূর বলেন, কর্মসূচির শুরুর আগে তাদের ফোন করে বলেছিলাম সিট সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। কর্মসূচি পালন করার দরকার নেই। কিন্তু তার পরেও তারা কর্মসূচি পালন করছিল। তাই আমরা সেখানে গিয়ে তাদের চলে যেতে বলেছি। বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
প্ল্যাকার্ড কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি প্ল্যাকার্ডটি নিয়ে ওদের বলেছি, তোমরা সিট বাণিজ্যের বিষয়টি এখানে লিখেছো। এটার তো সমাধান হয়েছে। তোমরা চলে যাও।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল ইসলাম বলেন, প্ল্যাকার্ড কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তারা কর্মসূচি পালনের সময় ছাত্র উপদেষ্টা বলেন, “তোমরা যে বিষয়ের দাবি করছো, তার সমাধান হয়ে গেছে। তোমরা এখানে থেকে চলে যাও।”