ঢাবিতে ফুলবিজু উৎসব উদযাপিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণের জন্য প্রতিটি জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও চর্চা করতে হবে। এসব ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সর্বজনীন উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন এগুলোর সংরক্ষণ ও বিকাশে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) জগন্নাথ হলে আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ফুলবিজু উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, সংগঠনের সভাপতি রাতুল তংচঙ্গ্যা এবং সাধারণ সম্পাদক নুথোয়াই মার্মা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, উৎসব উপলক্ষ্যে উপাচার্যের নেতৃত্বে জগন্নাথ হল থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এবছর উৎসবের স্লোগান হলো ‘বৈচিত্রের শক্তিতে বিকশিত হোক জুম ভাষা ও সংস্কৃতি’।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, বিষু, চাংক্রান ও বিহু উৎসব উপলক্ষ্যে চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, অহমিয়া আদিবাসী সম্প্রদায়সহ সকলের সুখ, শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। তিনি বলেন, প্রতিটি উৎসবের মানবিক আবেদন রয়েছে। তাৎপর্যময় এই সংস্কৃতিগুলো মানুষের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।