টিএসসিতে নামাজের স্থান চেয়ে ভিসিকে ছাত্রীদের স্মারকলিপি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নারী শিক্ষার্থীদের নামাজের জন্য ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) জায়গা চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন এক দল শিক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নিকট এই স্মারকলিপি দেন তারা। এসময় উপাচার্য দ্রুত সময়ের মধ্যে নামাজের স্থানের ব্যবস্থা করে দেবেন আশ্বাস দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় মসজিদে নারী শিক্ষার্থীদের নামাজ আদায় করার জায়গা থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনসমূহের কমনরুমগুলোও বিকাল ৫ টায় বন্ধ হয়ে যায়। এ সময়ের পর ক্যাম্পাসে অবস্থানরত নারী শিক্ষার্থীদের নামাজ আদায় করার কোনো জায়গা থাকে না।
এতে আরও বলা হয়, টিএসসির মতো জনপরিসরে ছেলেদের জন্য নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও মেয়েদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাজে কিংবা নানাবিধ কারণে নারী শিক্ষার্থীরাও টিএসসিতে অবস্থান করে থাকেন। এছাড়াও রমজান মাস মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র ও ইবাদত পালনের মাস। এ মাসে টিএসসির সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ এবং বিভিন্ন জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি টিএসসি কেন্দ্রিক ইফতার কর্মসূচি দিয়ে থাকে। কিন্তু ইফতারের পরে নামাজের ব্যবস্থা না থাকার দরুন অনেক নারী শিক্ষার্থী এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হয়।
আরও পড়ুন- সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই: প্রতিমন্ত্রী
স্মারকলিপিতে বলা হয়, পার্শ্ববর্তী দুইটি হলে উক্ত হলসমূহের আবাসিক শিক্ষার্থী ব্যতিত বাকিদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। এমতাবস্থায় নারী শিক্ষার্থীদের নামাজের স্থান সংকটের কারণে বিবিধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ দুরূহ হয়ে পড়ে। অনাবাসিক নারী শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে আরো বেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়।ক্যাম্পাসের প্রাণকেন্দ্র টিএসসিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজ আদায়ের সু-ব্যবস্থা করে এই সংকট নিরসন সম্ভব।
ছয় সদস্যের এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিসা ইসলাম সাকাফি, সাফিয়া আক্তার স্বপ্না, কানিজ মুস্তারিন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার সহ-সভাপতি আসিফ মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পাদক আব্দুল কাদের।
এসময় শিক্ষার্থীরা টিএসসির পরিচালক সৈয়দ আলী আকবর ও উপদেষ্টা ড. সিকদার মনোয়ারা মুর্শেদের নিকটও স্মারকলিপির অনুলিপি প্রদান করেন।