টিপ পরা নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় ঢাবি শিক্ষক সমিতির তীব্র নিন্দা
কপালে টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় শিক্ষিকাকে হেনস্তার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
সোমবার (৪ এপ্রিল) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রতিবাদ লিপিতে জানানো হয়েছে, গণমাধ্যম খবর অনুযায়ী গত ২ এপ্রিল ২০২২ শনিবার সকালে বাসা থেকে নিজ কর্মক্ষেত্রে তেজগাঁও কলেজে যাচ্ছিলেন লতা সমাদ্দার। তার কপালে টিপ পরা ছিল। মোটরসাইকেলে বসা একজন পুলিশ সদস্য ওই শিক্ষককে দেখে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন এবং ‘টিপ পরছোস কেন’ বলে কটূক্তি করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালেও পুলিশ সদস্য তাকে অকথ্য ভাষায় গালি দেন এবং তার পায়ের উপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যান।
এতে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় সর্বস্তরের নাগরিকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বর্তমান সরকার যেখানে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে সমাজের সর্বস্তরে ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ ভেদাভেদ দূর করে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে; ঠিক সে সময়ে সরকারের পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য- যিনি নারীর নিরাপদ গমনাগমন নিশ্চিত করতে তৎপর থাকার কথা, তার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ অত্যন্ত অনভিপ্রেত।
আরও পড়ুন : টিপ পরায় শিক্ষিকাকে হেনস্তাকারী সেই ‘পুলিশ সদস্য’ চিহ্নিত
শিক্ষক সমিতি জানায়, আমরা মনে করি এ ধরনের অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে সভ্য সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করা কোনভাবেই সম্ভব হবে না। একজন ব্যক্তির বেআইনি কর্মকাণ্ডের দায়ভার কোনো প্রতিষ্ঠান বহন করবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সংসদেও বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, আইন রক্ষাকারী বাহিনীতে এ ধরনের অপরাধ মনোবৃত্তি সম্পন্ন ব্যক্তির উপস্থিতি অবাঞ্ছিত। আমরা অনতিবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অপরাধীকে শনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।