রাবির রোকেয়া হলে দুই রুমমেটের মারামারি, হাসপাতালে এক ছাত্রী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে দুই রুমমেটদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে যান। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাম্বুলেন্সে করে মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হয়। গতকাল এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরবী সাহিত্য বিভাগের ছাত্রী ও অভিযুক্ত ছাত্রী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করছেন। তারা উভয়েই বেগম রোকেয়া হলের একই কক্ষের আবাসিক ছাত্রী।
মারামারির ঘটনায় আজ সোমবার মারধরের শিকার ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূরের কাছে একটি অভিযোগ পত্র দেন।
অভিযোগ পত্রে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, গতকাল বিকেল ৩টার দিকে আমার রুমমেটের সাথে খুব সামান্য বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হয়। তার জের ধরে সে আমাকে জোরপূর্বক রুমের বাইরে ৪র্থ ব্লকের রিডিং রুমের সামনে নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে যায় এবং আমাকে শারীরিক ভাবে আঘাত করে। আঘাতের কারণে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
আরও পড়ুন- ‘মানবিক’ কারণে ছাত্রলীগ কর্মীর বহিষ্কারের সুপারিশ বাতিল করলো ঢাবি
অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, আঘাতের চিহ্ন এখনো আমার হাতে ও মুখে বর্তমান আছে। হল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে এ্যাম্বুলেন্সযোগে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নেওয়া হয়। প্রভোস্ট ম্যামকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এমতাবস্থায়, আমি রুমে থাকতে অনিরাপদ বোধ করছি এবং প্রাণনাশের আশংকা করছি। তাই বিষয়টি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।
অভিযুক্ত ছাত্রী বলেন, বিষয়টি খুবই সামান্য। একটি তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির ফলে রাগের মাথায় এ ঘটনা ঘটেছে। তার সাথে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক। আমরা একসাথে তিন বছর একই রুমে অবস্থান করছি। এর আগে কখন এমন ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি রাগের মাথায় ঘটেছে। সেজন্য তাকে অনেকবার সরিও বলেছি।
এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ জয়ন্ত রাণী বসাক জানান, মারামারির বিষয়টি রাতেই জেনেছি। আজ তাদের সাথে বসে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর বলেন, রোকেয়া হলে একই রুমের দুজন শিক্ষার্থীর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আজ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী একটি অভিযোগ পত্র দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে হল প্রাধ্যক্ষসহ বিকেলে বসে একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।