‘মানবিক’ কারণে ছাত্রলীগ কর্মীর বহিষ্কারের সুপারিশ বাতিল করলো ঢাবি
শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের এক কর্মীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হলেও সেটি আমলে নেয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শৃঙ্খলা কমিটি তাকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ও আজীবনের জন্য হল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিলো। গতকাল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভা ছাত্রলীগের ওই কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি নাকচ করে দেয়। তাকে শুধু হল থেকে আজীবন বহিষ্কারের সুপারিশটি অনুমোদন করা হয়।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী সিফাত উল্লাহ সিফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি সূর্যসেন হলে থাকেন। ২০১৮ সালে অর্থনীতি বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে সিফাতকে ছয় মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো। শাস্তি ভোগ করে সিফাত পুনরায় শিক্ষা কার্যক্রমে ফেরেন। শাস্তি ভোগ করে এসেও তিনি শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটান। যার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি তাকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। একই সঙ্গে কঠোরভাবে সতর্ক করার কথাও উল্লেখ করে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজ করায় তাকে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগেও সে বহিষ্কার হয়েছিল। এবার তাকে শাস্তির পাশাপাশি সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ঢাবির সান্ধ্যকোর্সের ভর্তিতে পাস নম্বর ৪০
পরে বিষয়টি সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপন করা হয়। কিন্তু সেই সভায় সিফাতকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশটি বাতিল করা হয়।
এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, শৃঙ্খলা কমিটি যে ৭১ জনের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছিল একজন বাদে বাকিগুলোর যেভাবে সুপারিশ আসছে সেভাবেই পাস হয়েছে। এর মধ্যে সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সিফাত উল্লাহ সিফাতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলো তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার যে সুপারিশ এসেছিল তা বাতিল করা হয়েছে। শুধু হল থেকে আজীবন বহিষ্কার বহাল থাকবে।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যেহেতু এর আগেও তার ইয়ার গ্যাপ আছে। এখন আবার এক বছর বহিষ্কার করলে সে আর ডিগ্রিটা পাবে না। এই বিবেচনা করে তাকে এক বছরের যে বহিষ্কারের সুপারিশ ছিল তা বাতিল করা হয়েছে কিন্তু হলের স্থায়ী বহিষ্কার বহাল থাকবে।