জেলায় পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা কার স্বার্থে, প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ-২০২০ পরীক্ষা জেলা পর্যায়ে নেয়ার পরিকল্পনা কার স্বার্থে এমন প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আজ বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১১ টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক মানববন্ধনে এই প্রশ্ন তুলেন তারা। মানববন্ধন থেকে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ-২০২০ এর পরীক্ষা কেন্দ্রীয় ও দুর্নীতিমুক্তভাবে ঢাকায় নেয়ার দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল হাকিমের সঞ্চালনায় শম্পা রায় নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, জেলা পর্যায়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হবে। সেখানে দুর্নীতি অনিয়ম করে দুর্নীতিবাজরা অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দিবে। এজন্য জেলা পর্যায়ে পরীক্ষা না নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় দুর্নীতিমুক্তভাবে নেয়ার দাবি জানান।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের খায়রুল ইসলাম নামের এক চাকরি প্রত্যাশী বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাটি দুর্নীতিমুক্তভাবে নেয়ার জন্য অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় নেয়ার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কিন্তু কুচক্রী মহলের চাপে অধিদপ্তর জেলায় পরীক্ষা নেয়ার জন্য নতুন করে ভাবছে। যারা জেলা পর্যায়ে পরীক্ষা নেয়ার জন্য অধিদপ্তরকে চাপ দিচ্ছে, নিশ্চয় তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয়।’
আরও পড়ুন- সমন্বয়হীনতা, তারিখ ও কেন্দ্র জটিলতায় আটকে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষা
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্রতি শুক্রবার ঢাকায় গিয়ে অন্য চাকরি পরীক্ষাগুলো দিচ্ছি। কয়েকটি পরীক্ষা বাদে অধিকাংশ পরীক্ষাই ভালোভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাহলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ঢাকায় নিলে সমস্যা কোথায়। আমরা দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ পরীক্ষা চাই। যাতে যোগ্য প্রার্থীরাই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায়।
মানববন্ধনে শিবলী ইসলাম নামের আরেক চাকরি প্রত্যাশী বলেন, ‘গতবার যখন আমরা জেলা পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলাম, তখন দেখেছি পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেছে। পরীক্ষা শুরুর পর অনেক প্রার্থী পরীক্ষা কক্ষে ঢুকে পরীক্ষা দিয়েছে। অনেক সময় পরীক্ষা কেন্দ্র দখল করার ঘটনাও ঘটেছে। আমরা এরকম আর কোনো কিছু চাই না। আমরা স্বচ্ছভাবে নিয়োগ চাই। বঙ্গবন্ধুর এই দেশে নিয়োগ বাণিজ্য চলতে পারে না।’
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন- চাকরি প্রত্যাশী মো. রাসেল ও মাহমুদুল হাসান প্রমূখ। এ সময় সেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।