সীমান্তে রক্তপাত-গুলির শব্দ শুনতে চাই না: রাবি উপাচার্য
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, সীমান্তে শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য উভয় দেশের সরকার ও সকল নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। যারা শান্তি ও ন্যায়ের পক্ষে তাঁরা কখনও সীমান্তে রক্তপাত ও গুলির শব্দ শুনতে চাই না। ভারত ও বাংলাদেশ এই দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক তা কাজে লাগিয়ে দুই দেশকে শান্তিপূর্ণ সীমান্ত প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
আজ সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ আয়োজিত ‘শান্তিপূর্ণ সীমান্ত: কর্তব্য ও করণীয়’ শিরোনামে একটি একাডেমিক লেকচারে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও তাঁর সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে ১৯৭৪ সালে যে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল ৪১ বছর পর ২০১৫ সালে তা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ছিটমহলের হাজার হাজার মানুষ মুক্তির স্বাদ পেয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে সীমান্তে শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. হাসিবুল আলম প্রধানের সভাপতিত্বে একাডেমিক লেকচারটি বেলা আড়াইটায় আইন বিভাগের প্রফেসর এম. বদরউদ্দীন লেকচার থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়।
এই একাডেমিক লেকচারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২০২২ সালে একুশে পদক প্রাপ্ত রাজশাহী বিশ্বিবদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং রাকসুর সাবেক এজিএস ও সিনেটর এ্যাডভোকেট এস. এম. আব্রাহাম লিংকন। একাডেমিক লেকচারে সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের অবঃ শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমান, আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, আইন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. এম. আনিসুর রহমান ও প্রফেসর আনম ওয়াহিদ।
একাডেমিক লেকচারের প্রধান আলোচক এ্যাডভোকেট এস. এম. আব্রাহাম লিংকন শান্তিপূর্ন সীমান্ত প্রতিষ্ঠায় একজন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী হিসবে হিসেবে কাজ করতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, দেশপ্রেম, কূটনৈতিক তৎপরতা, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে শান্তিপূর্ন সীমান্ত প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
তিনি বলেন বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক সফলতার কারণে ২০১৫ সালে ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় ঐতিহাসিক বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিল পাশ হওয়ায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রায় ৬৮ বছরের ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে এবং সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হয়েছে।
লেকচারের মুক্তপর্বে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা আলোচনায় অংশ নেন। একাডেমিক লেকচারে ২০২২ সালে সমাজ সেবায় একুশে পদক প্রাপ্ত হওয়ায় রাজশাহী বিশ্বিবদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এ্যাডভোকেট এস. এম. আব্রাহাম লিংকনের হাতে আইন বিভাগের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্টটি তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী আলোচনাসভায় প্রায় আড়াই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। একাডেমিক লেকচারটি সঞ্চালন করেন মেহজাবীন কথা।