২১ মার্চ ২০২২, ১৮:৫৪

ঢাবি থেকে ‘সেকেন্ড টাইম’ আন্দোলনের ৭ জন আটক

দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দাবিতে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৭ জনকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। সোমবার (২১ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে থেকে আটক করা হয়। শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মওদুত হাওলাদার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বহিরাগত কিছু শিক্ষার্থী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বারবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির লোকজন তাদের সাতজনকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। এখনো তারা থানায় রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আটকদের মধ্যে রয়েছেন তানজিদ সোহরাব, মাহমুদুল হাসান, রায়হান, রোমান, তানজিব, মহিদুল ইসলাম দাউদ ও মহিউদ্দিন তুষার।

এর আগে, এদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেন তারা। সমাবেশে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগের দাবিতে বক্তব্য রাখছেন আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন: ‘সেকেন্ড টাইমের’ দাবিতে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ ভর্তিচ্ছুদের

আন্দোলনকারীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভা হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবির বিষয়ে তাদের জানিয়ে আসছি। দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ পাওয়া আমাদের অধিকার। আমরা সমাবেশ করছি। আন্দোলন করছি।  সমাবেশ থেকে আমরা কর্তৃপক্ষকে বার্তা দিতে চাই। আমাদের দাবির বিষয়ে তাদের পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।

এদিকে, আজ দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং শুরু হয়। এ মিটিংকে গিরে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্য থেকে সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে তাদের ৭ জনকে সিনেট ভবনের সামনে থেকে আটক করা হয়।

মওদুত হাওলাদার বলেন, এসব শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের নামে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের এনে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছিলো।

২০১৪ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ বন্ধ রয়েছে। মেধার সমতা বিধান, জালিয়াতি রোধ ও আসন শূন্যতা কমাতে এমন পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরপরই জগন্নাথ, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগটি বন্ধ ঘোষণা করে। তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মাঝে পুনরায় সুযোগটি চালু করলেও বর্তমানে সেটি আর পান না ভর্তিচ্ছুরা।