ঢাবি শিক্ষার্থী আদরের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের মামলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মাহবুব আলম আদরের (১৯) মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২১ মার্চ) পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনজের আলী এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে, শনিবার রাতে নিহতের বাবা আব্দুল হান্নান মিঠু এ মামলা দায়ের করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনজের আলী জানান, নিহত ঢাবি শিক্ষার্থী আদরের বাবা আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শিক্ষার্থীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা যায়, চলন্ত ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে মারা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী। তবে পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। পাবনার জেলার পাকশি সেতুতে এই ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়ার পোড়াদহ রেলওয়ে থানা সূত্রে জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মাহবুরের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তিনি ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ায় বেড়াতে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন : দোকানে জনসম্মুখে মারধর, লজ্জায় মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা
আদরের সহপাঠীরা জানান, সে খুবই সহজ-সরল ছেলে ছিল। সম্প্রতি সে শরীয়তপুরে এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথেই কুষ্টিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কুষ্টিয়া যাওয়ার জন্য তার এক বন্ধুর কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নিয়েছিল। তবে কুষ্টিয়া সে একাই গিয়েছিল।
ট্রেনে যাওয়ার সময় সে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছিল। ওই পোস্টে লেখা ছিল, ‘অফ টু কুষ্টিয়া। কঠিন তবুও আনন্দঘন, মাঝপথে জুটেছিল, অপরিচিত সঙ্গী।’
প্রসঙ্গত, মাহাবুবের বাড়ি জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার সদর ইউনিয়নে। মাহাবুব আদর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ১০০৬ নাম্বার কক্ষে। তিন সদস্যের পরিবারে সে তার পিতা মাতার একমাত্র সন্তান। তার পিতার নাম মো. হান্নান মিঠু। তিনি একজন রাজনীতিবিদ বলে জানা যায়।